বিসিএস ক্যাডার হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত ৫ জনকে সংশ্লিষ্ট ক্যাডারে নিয়োগের নির্দেশ
৩৩তম বিসিএসের সুপারিশপ্রাপ্ত একজন, ৩৪তম বিসিএস এর সুপারিশ প্রাপ্ত একজন, ৩৫তম বিসিএস এর সুপারিশ প্রাপ্ত একজন এবং ৩৯ তম বিসিএস এ সুপারিশ প্রাপ্ত দুজনসহ সর্বমোট পাঁচজনকে সংশ্লিষ্ট ক্যাডারে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ের কপি পাওয়ার পর ৬০ দিনের মধ্যে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত পাঁচটি রিটের শুনানি শেষ আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী এবং বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় প্রদান করেন।
রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে. এম. মাসুদ রুমি।
রায়ের পর রিটকারীদের আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি ৩৩তম বিসিএস, ২০১৩ সালের ০৭ ফেব্রয়ারি ৩৪তম বিসিএস, ২০১৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ৩৫তম বিসিএস, ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল ৩৯তম বিসিএসের নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন প্রকাশ করলে রিটকারীগণ আবেদন করেন। যথারীতি প্রিলিমিনারি, লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
রিটকারিরা বারবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেও তাদেরকে নিয়োগ প্রদান না করায় তারা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। পূর্বের জারীকৃত রুলের পূর্ণঙ্গ শুনানি শেষে হাইকোর্ট এ রায় দেন।
আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, ‘আজ এ রায়ের ফলে রিটকারীগণ ন্যায় বিচার পেয়েছেন এবং তাদের নিয়োগের পথ সুগম হলো।’
রিটকারীগণ হলেন—৩৩তম বিসিএসের মো. সাফায়েত হোসেন, ৩৪তম বিসিএসের শাহিন সুলতানা, ৩৫তম বিসিএসের মো. আরিফুজ্জামান এবং ৩৯তম বিসিএসের মো. সাইফুল আলম ও মেহেরিন আক্তার সারওয়ার।
উল্লেখ্য, প্রিলিমিনারি, লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও ৩৩ তম বিসিএসে ১৫৬ জন, ৩৪ তম বিসিএসে ৪৬জন, ৩৫তম বিসিএসে ৪০ জন, ৩৯তম বিসিএস সর্বমোট ৭২ জন নিয়োগ বঞ্চিত হয়।