ভুল আসামিকে দণ্ড : বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
এক আসামির বদলে অন্যজনকে দণ্ড দেওয়ার ঘটনায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েশসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদন করা হয়েছে।
রিটে বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ, অতিরিক্ত পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) তাপস কুমার পাল, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন তুহিন ও আসামিপক্ষের আইনজীবীকে তাদের দায়িত্ব থেকে অপসারণ করে তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়েছে।
একই সঙ্গে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখতে আদেশ প্রার্থনা করা হয়েছে। এছাড়াও রিটে তাপস কুমার পাল ও মো. নাসির উদ্দিন তুহিনের অপসারণ চাওয়া হয়েছে।
রিটে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ প্রধান, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ, ডিএমপি কমিশনার, বার কাউন্সিল সচিবসহ ১০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আইনজীবী বদিউজ্জামান তপাদার জানান, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুল ব্যক্তিকে সাজা দেওয়ার অভিযোগ এনে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েশকে তার বিচারিক পদ থেকে অপসারণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনা তুলে ধরে বদিউজ্জামান তপাদার বলেন, একজন আসামির পরিবর্তে অন্য একজন নির্দোষ ব্যক্তিকে আসামি সাজিয়ে খিলগাঁও থানার একটি মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে চার্জশিট দেয়। এ মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্যের ভিত্তিতে সেই নির্দোষ ব্যক্তিকে ছয় বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আমার মক্কেল রায় ধার্য হওয়ার দিন হাজির ছিলেন না। পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন তার বিরুদ্ধে রায় হয়েছে। এরপর ভুক্তভোগী ব্যক্তি আমার কাছে এসে বলেন, আমি এ মামলার আসামি না। এ মামলার প্রকৃত আসামির বাড়ি নারায়ণগঞ্জে আর আমার বাড়ি চাঁদপুরে। পরে আমি তাকে আত্মসমর্পণের পরামর্শ দেই। তার আত্মসমর্পণের পর তার মূল কাগজপত্র আমার কাছে আসে। পরে তার পক্ষে আপিল ফাইল করি এবং তাকে জামিন করাই, বলছিলেন আইনজীবী বদিউজ্জামান।
‘এরপর আমি তার সকল কাগজপত্র দেখে তার পক্ষে একটি আইনি নোটিশ দেই। দীর্ঘদিনেও নোটিশের কোনো জবাব না পাওয়ায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করি। হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে আগামী রোববার রিটটির শুনানি হতে পারে বলেও জানান এই আইনজীবী।