মশা নিধনে সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণে হাইকোর্টের নির্দেশ
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশা মারতে সিভিল অ্যাভিয়েশন, উত্তর সিটি করপোরেশনসহ সব পক্ষকে বসে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক এই বিমানবন্দরে মশা নিধনে কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পদক্ষেপ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রিমি নাহরিণ। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ।
২০১৯ সালের ১৩ মার্চ হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রী-দর্শনার্থীসহ অন্যদের মশার উৎপাত থেকে রক্ষায় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা ও উদাসীনতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। এর আগে এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল দেন। বিমানবন্দরে মশা নিয়ন্ত্রণে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছিল।
‘শাহজালাল বিমানবন্দর : মশার পরান বধিবে কে?’ শিরোনামে ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি একটি অনলাইন পোর্টালে এবং ‘ছেঁকে ধরে ঝাঁকে ঝাঁকে মশা’ শিরোনামে একই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পৃথক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট সচিবসহ চার ব্যক্তি বরাবর আইনি নোটিশ পাঠালেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ওই বছরের ৩ মার্চ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ।
তানভীর আহমেদ বলেন, বিমান ও পর্যটন সচিব, বেসরকারি বিমান কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিমানবন্দরসংলগ্ন ওয়ার্ড কমিশনারকে চার সপ্তাহের মধ্যে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি হয়।
রিট আবেদনকারীর ভাষ্য, বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুসারে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বছরে ৫০ লাখ যাত্রী আসা-যাওয়া করেন। এর মধ্যে ৪০ লাখই আন্তর্জাতিক রুটে চলাচল করেন। মশার কামড়েই ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া জ্বর হয়ে থাকে। এমনকি ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া জ্বরে প্রাণহানিও হয়। সংবিধানের ১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জনস্বাস্থ্য রক্ষা করা রাষ্ট্রের অন্যতম কর্তব্য। অথচ কর্তৃপক্ষের মশা নিয়ন্ত্রণে নিষ্ক্রিয়তা ও উদাসীনতা সমর্থনযোগ্য নয়। এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।