মিছিল-মিটিং রাজনৈতিক দলগুলোর অধিকার : ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নবনিযুক্ত কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, মিছিল-মিটিং রাজনৈতিক দলগুলোর অধিকার। নিবন্ধিত দলের এ ধরনের কর্মসূচি পালনে বাধা নেই। তবে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে জ্বালাও-পোড়াও বা বিশৃঙ্খলতা মেনে নেওয়া হবে না। এগুলো ফৌজদারি অপরাধ। কেউ ফৌজদারি অপরাধ করলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ সোমবার রাজধানীর মিন্টো রোডের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত মিট দ্য প্রেসে তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর এলাকায় প্রত্যেকটি থানা মসজিদে নামাজ পড়ে ওসিরা বক্তব্য দেবেন যে তাঁর থানায় সেবা নিতে কোনো টাকা লাগে না। এসব বলার পরে কারও যদি ন্যূনতম লজ্জা-শরম থাকে, তিনি থানায় সেবা দিতে টাকা নেবেন না। ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি পালনে বাধা নেই। তবে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বিশৃঙ্খলা মেনে নেওয়া হবে না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, মিছিল-মিটিং রাজনৈতিক দলগুলোর অধিকার। নিবন্ধিত দলের এ ধরনের কর্মসূচি পালনে বাধা নেই। তবে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে জ্বালাও-পোড়াও বা বিশৃঙ্খলতা মেনে নেওয়া হবে না। এগুলো ফৌজদারি অপরাধ। কেউ ফৌজদারি অপরাধ করলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যানজট নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, পূর্বের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এনে রাজধানীবাসীকে যানজটমুক্ত সড়ক উপহার দেব। সড়কে বিভিন্ন সংস্থার উন্নয়নমূলক কাজ চলছে, অপরিকল্পিত নগরায়ণও যানজটের জন্য দায়ী। ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, সেগুলো সমাধান করে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজানো হবে।
খন্দকার গোলাম ফারুক আরও বলেন, তিনি চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি থাকা অবস্থায় ইয়াবা ৭৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছিলেন। মাদকসেবীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এরপরে সরবরাহ লাইন বন্ধ করতে হবে। চাহিদা না থাকলে মাদক এমনিতেই কমে যাবে।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, আমরা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলব এবং মাদক নিরাময় কেন্দ্রগুলো বাড়ানো এবং সেখানে সেবার মান বাড়ানোর জন্য বলব। বাংলাদেশে জঙ্গিরা আগের মতো মাথাচাড়া দিতে পারবে না। জঙ্গি নিয়ন্ত্রণে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট এবং সরকারের অন্যান্য সংস্থা একযোগে কাজ করছে।