মুন্সীগঞ্জে আগুন : দুই সন্তান ও স্বামীর পর মারা গেলেন শান্তাও
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরমুক্তারপুর এলাকায় গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্বামী ও দুই শিশু সন্তানের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর মারা গেলেন গৃহবধূ শান্তা বেগমও।
রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার ভোরে মৃত্যু হয় শান্তার। তাঁর শরীরে ৪৮ শতাংশ দগ্ধ ছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
জানা গেছে, গত ২ ডিসেম্বর ভোর ৪টার দিকে মুন্সীগঞ্জের চরমুক্তারপুর এলাকায় চারতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অগ্নিদগ্ধ হয় শান্তা বেগম (২৩), তাঁর স্বামী কাওছার (৩৬), তাঁদের দুই সন্তান ইয়াছিন (৫) ও নোহর (৩)। ওই দিনই গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন বলেন, ‘শান্তা বেগমকে ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। শান্তা বেগমের শরীরের ৪৮ ভাগের বেশি দগ্ধ ছিল। গত ২ ডিসেম্বর দগ্ধ ওই পরিবারের চার জনকে এখানে আনা হয়। ওইদিন রাত সাড়ে ৭টার দিকে শিশু ইয়াছিনের (৫) মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৪৪ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এর পৌনে দুই ঘণ্টা পরই তার বোন নোহর (৩) মারা যায়। তার শরীরের ৩২ শতাংশ দগ্ধ ছিল।’
ডা. আইউব হোসেন আরও বলেন, ‘দুই শিশু সন্তান মারা গেলেও তাদের বাবা কাওছার ও মা শান্তা বেঁচে ছিলেন। কাওছারের শরীরের ৫৪ শতাংশ এবং শান্তার ৪৮ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তাঁদের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। তবে গত ৪ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কাওছার মারা যান। এরপর বেঁচে ছিলেন শুধু শান্তা। তিনিও গতকাল দিবাগত রাতে মারা গেছেন।’