‘মুভমেন্ট পাস’ ছাড়া চলাচল করতে পারবেন যাঁরা
নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া চলাচলে আরোপ করা হয়েছে বিধিনিষেধ। কিন্তু জরুরি সেবার সঙ্গে জড়িত এমন অনেককে চলাচল করতে হচ্ছে। আর এখানেই বেধেছে বিপত্তি।
প্রথম দিনের লকডাউনে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে পুলিশ তল্লাশি চৌকি বসিয়েছিল। জরুরি সেবার আওতায় পড়া চিকিৎসকদের আটকানোর কথা শোনা গেছে গতকাল। সাংবাদিককে মামলা দেওয়ার ঘটনাও শোনা গেছে।
সরকারঘোষিত ‘কঠোর লকডাউন’ চললেও ব্যাংক, শিল্পকারখানা, হাসপাতালসহ জরুরি সেবার সঙ্গে জড়িত এমন অনেকেকে বের হতে হয়েছে সড়কে। বের হওয়ার পর তাদের পড়তে হয়েছে ভোগান্তিতে। ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ। এসব নিয়ে আবার গণমাধ্যমেও লেখালেখি হয়েছে। ফলে পুলিশ সদর দপ্তর ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে, যাতে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা জানতে পারেন, কাদের মুভমেন্ট পাস দরকার আর কাদের দরকার নেই।
লকডাউনের বিধিনিষেধের আওতামুক্ত যারা থাকবেন, তাঁদের বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়েছে, যারা লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে, তাঁদের চলাচল করতে হলে মুভমেন্ট পাস লাগবে না। সে অনুযায়ী সবাইকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
যাঁরা লকডাউনের আওয়াতামুক্ত
১. চিকিৎসক
২. নার্স
৩. মেডিকেল স্টাফ
৪. কোভিড টিকা/চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি/স্টাফ
৫. ব্যাংকার
৬. ব্যাংকের অন্যান্য স্টাফ
৭. সাংবাদিক
৮. গণমাধ্যমের ক্যামেরাম্যান
৯. টেলিফোন/ইন্টারনেট সেবাকর্মী
১০. বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী
১১. জরুরি সেবার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা/কর্মচারী
১২. অফিসগামী সরকারি কর্মকর্তা
১৩. শিল্পকারখানা/গার্মেন্টস উৎপাদনে জড়িত কর্মী/কর্মকর্তা
১৪. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য
১৫. ফায়ার সার্ভিস
১৬. ডাকসেবা
১৭. বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও জ্বালানির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি/কর্মকর্তা
১৮. বন্দর–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/কর্মকর্তা