‘যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হবে’
যুদ্ধাপরাধের দায়ে আদালত কর্তৃক অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তির সম্পত্তি বা বাড়ি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিলে, সেটা পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হবে। একই সঙ্গে পরিত্যক্ত ঘোষিত সম্পত্তি বা বাড়ি বণ্টন কিংবা অন্য যে কোনো বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ সোমবার এমন বিধান রেখে ‘পরিত্যক্ত সম্পত্তির বাড়ি (সম্পূরক বিধানাবলি) আইন’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সভায় অংশ নেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
সচিব বলেন, ‘আমাদের দেশের পরিত্যক্ত সম্পত্তি হচ্ছে, যাঁরা ১৯৭১ সালে দেশত্যাগ করে চলে গেছে, তাঁদের সম্পত্তি। ১৯৮৫ সালের একটি বিধি দ্বারা এ পরিত্যক্ত সম্পত্তি হ্যান্ডেল করা হতো। যেহেতু এটা সামরিক শাসনামলের অর্ডিন্যান্স, সে জন্য হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী নতুন আইন হিসেবে আনতে হচ্ছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘নতুন আইন আগের মতোই হচ্ছে, ছোটখাটো দু-একটি সংশোধন আনা হয়েছে। তিন শতাংশের বাড়িগুলোকে নিয়ে সেইল লিস্ট বলা হতো। যেগুলো তিন শতাংশের বেশি জমির সেগুলো নিয়ে রিটেইল লিস্ট। সেইল লিস্টে বাড়িগুলো যুদ্ধাহত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে অগ্রাধিকার অনুযায়ী ১৯৭২ সালের দাম অনুযায়ী দিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘রিটেইল লিস্টের বাড়িগুলো পূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতায়। এসব জমিতে অনেক অফিস আছে। এগুলো সরকারি বাড়ি হিসেবে পূর্ত মন্ত্রণালয় বিভিন্ন দপ্তরকে লিজ দিয়েছে।’
প্রস্তাবিত আইনে নতুন বিষয় যুক্ত করা সম্পর্কে সচিব বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীর মামলায় যদি কেউ দণ্ডিত হয়, আদালত যদি তাঁর জমিজমা-সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেন, তাহলে সেটাও পরিত্যক্ত বাড়ির মধ্যে পড়বে। এমন বিধান আগে ছিল না।’
সচিব বলেন, ‘আগে পরিত্যাক্ত বাড়িগুলোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারত। এখন এটা সরকারপ্রধান বা প্রধানমন্ত্রী করবেন। এসব বাড়ির নিষ্পত্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন সরকারপ্রধান বা প্রধানমন্ত্রী।’