রাজধানীসহ সব সিটিতে বাস চলছে
দেশের সব সিটি করপোরেশন এলাকায় আজ বুধবার সকাল থেকে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর গুলিস্তান, শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট ও মহাখালী এলাকার বিভিন্ন রুটের বাস চলতে দেখা গেছে।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, কুমিল্লা, রংপুর ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকায় আজ বুধবার সকাল থেকে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। তবে যথারীতি বন্ধ থাকবে দূরপাল্লার গণপরিবহণ চলাচল।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ আরোপের দুই দিনের মধ্যেই সরকার দেশের সব সিটি করপোরেশন এলাকায় সকাল-সন্ধ্যা গণপরিবহণ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নিজের সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘লকডাউন পরিস্থিতিতে সরকারি-বেসরকারিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ও জনসাধারণের যাতায়াতে দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার গণপরিবহণে চলাচলের বিষয়টি শর্ত প্রতিপালন সাপেক্ষে পুনরায় বিবেচনা করে অনুমোদন দিয়েছে।’
মন্ত্রী জানান, ‘সব সিটি করপোরেশন এলাকার সড়কে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অর্ধেক আসন খালি রেখে গণপরিবহণ চলাচল করবে। প্রতি ট্রিপের শুরু ও শেষে জীবাণুনাশক দিয়ে গাড়ি জীবাণুমুক্ত এবং পরিবহণ সংশ্লিষ্ট ও যাত্রীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কোনোভাবেই সমন্বয়কৃত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না।’
সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী করোনা সংক্রমণ বিস্তাররোধে সরকারের নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে প্রতিপালনে পরিবহণ মালিক-শ্রমিক ও যাত্রীসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেন।
এদিকে করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯-এর বিস্তার রোধকল্পে শর্ত সাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে গত রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে সারা দেশে গণপরিবহণ বন্ধ, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ঘরের বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা, কাঁচাবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ আরোপ করে ১১টি নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জনদুর্ভোগের কথা ভেবে দেশের সিটি করপোরেশন এলাকাগুলোয় গণপরিবহণ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।