শরীয়তপুরে সুষ্ঠু ইউপি নির্বাচনের দাবিতে বিদ্রোহী প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন
শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে লেভেল পেলেইং ফিল্ড তৈরির দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
আনারস প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। তার অভিযোগ, নির্বাচনে টাকা জমা দেওয়ার পর থেকে তার কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা, মামলা ও নির্যাতন শুরু করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আসমা আক্তার ও তার পারিবারের লোকজন। এ বিষয়ে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন জায়গায় লিখিতভাবে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন বাকি থাকলেও এখানো তিনি পোস্টার সাঁটাতে পারছেন না। তার পোস্টার ছিড়ে ফেলা হচ্ছে। এ পর্যন্ত তার কয়েকজন কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে আসমা আক্তারের সমর্থকরা।
আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আসমা আক্তার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার ভাই এখনো বিএনপির রাজনীতি করেন। তাদের পুরো পরিবার বিএনপি পরিবার হিসেবে পরিচিত। তাই আসমা আক্তারকে মনোনয়ন দেওয়ায় তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমাকে নির্বাচনের জন্য বাধ্য করে। আমি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, আমার নেতাকর্মী সবাই আওয়ামী লীগের।
আসমা আক্তারের স্বামী শরীয়তপুর পুলিশ হাসপাতালে চাকরি করেন। তিনি পুলিশের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন ভোটারদের। তার দল না করলে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দিচ্ছেন আমার কর্মীদের। পুলিশ নির্বাচনের দিন ভোট কেটে নৌকাকে বিজয়ী করবে—এমন সব প্রপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছেন তিনি।
আনোয়ার হোসেন হাওলাদার আরও বলেন, আগামী ১১ নভেম্বর আংগারিয়া ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ করা হবে। এখানো নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এখানো আমরা ভোট চাইতে যেতে পারছি না। দ্রæত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের শতাধিক নেতাকর্মী ও শরীয়তপুরের প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসমা আক্তার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করছে। স্বতন্ত্রপ্রার্থী আনোয়ার হাওলাদারের সমর্থকরা আমার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করে আবার আমার সমর্থকদের উপরই হামলা করছে।’