শিশুশ্রম নিরসনে সম্মিলিত প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে : শ্রম প্রতিমন্ত্রী
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, ‘শিশুশ্রম নিরসনে সম্মিলিত প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে। সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারলে এসডিজির লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে।’
আজ মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) রাজধানীর বিজয়নগর শ্রমভবনের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদের সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, এসডিজির অভীষ্ট অর্জন এবং উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সকল খাত থেকে শিশুশ্রম অপরিহার্য। এজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সকল পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আরো উদ্যোগী আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘১৪ বছেরর নিচের আর কোনো শিশু যাতে নতুন করে শিশুশ্রমে নিযুক্ত না হয়, সেজন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনকে অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিয়মিত করা হচ্ছে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে বিভিন্ন শিল্প কারখানা হতে তিন হাজার ৭০০ পাঁচজন শিশুকে শ্রম থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। বাংলাদেশ লেবার ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় রাজধানীর কেরাণীগঞ্জকে দ্রুত শিশুশ্রমমুক্ত করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
শিশুশ্রম নিরসনে সভায় এ শিল্পাঞ্চলের বেশ কিছু অগ্রগতি তুলে ধরা হয়। শিশুশ্রম নিরসনে আটটি বিভাগে বিভাগীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদের ৬১টি সভা, ৪০ জেলায় শিশুশ্রম পরিবীক্ষণ কমিটির ১৫৭টি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে ওই সভায় জানানো হয়। এ ছাড়া এপর্যন্ত ১০৩ উপজেলায় উপজেলা শিশুশ্রম পরিবীক্ষণ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী, অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ, জেবুন্নেছা করিম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দীন আহমেদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী, শিশুশ্রম নিরসন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. মনোয়ার হোসেন, শ্রমিকলীগের সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নান, কার্যকরী সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়া, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী, বাংলাদেশ লেবার ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব জেড এম কামরুল আনাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।