সরকার গণমাধ্যমের মুখ স্তব্ধ করে দিতে চায় : রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের মন্ত্রীরা জনগণের আস্থা খুইয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে। কিন্তু, জনগণ তাদের কুৎসাকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে।’
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর অভিযোগ করে এর প্রতিবাদে রাজধানীর নয়াবাজার এলাকায় আজ দুপুরে এক বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ভোটারবিহীন সরকার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হলেও অন্য সবদিক থেকে ব্যর্থ হয়েছে। এ সরকারের আমলে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দুর্নীতির রেকর্ড গড়েছে। বর্তমানে তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। বিশ্ব সম্প্রদায়ও তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশে যাতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়, সেজন্য দেশের মানুষের দাবির সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য দেশও দাবি জানাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন থেকে শক্তিশালী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচণ্ড চাপ দিচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বেই বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরবে ইনশাআল্লাহ।’
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, ‘গণমাধ্যমের মুখ বন্ধ করতে সরকার এখন নানা কালাকানুন করছে। আদালত দিয়ে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করার চেষ্টা করছে । সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চিঠি দিয়ে হয়রানি করছে। মূলত, মানুষের মুখ স্তব্ধ করে দিতে তারা এসব পদক্ষেপ নিচ্ছে। গণমাধ্যমের মুখ বন্ধ করে দিতে চায় তারা।’
এ সময় মিছিলে আরও অংশ নেন ঢাকা মহানগর বিএনপিনেতা আরিফুর রহমান, যুবদল নেতা সাঈদ হাসান মিন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ডা. জাহিদুল কবির, যুবদল নেতা মেহেবুব মাসুম শান্ত, বিএনপিনেতা লতিফুল্লাহ জাফরু, ফরিদ জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সারা করিম লাকি, মনজুরুল হক, আশু মোহাম্মদ, হাজী জাহিদ, মো. হালিম, ছাত্রদল নেতা রাহুল আহমেদ প্রমুখ।