সাগর-রুনি হত্যা মামলা নিয়ে যা জানালো র্যাব
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলা ১০ বছর পেরিয়েছে। এরই মধ্যে ৯৩ বার পিছিয়েছে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন। তবে, ‘তদন্তের অগ্রগতি রয়েছে’ বলে দাবি তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী র্যাবের। ‘সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আদালত আমাদের সময় দিচ্ছেন’ বলেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি নৃশংসভাবে খুন হয়। একপর্যায়ে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল গত ৩১ অক্টোবর। কিন্তু, র্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত নতুন দিন ঠিক করেন। এ নিয়ে ৯৩ বারের মতো পেছিয়ে যায় প্রতিবেদন জমার দিন।
পরে আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এক গণমাধ্যমকর্মী সাংবাদিক র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের কাছে বারবার প্রতিবেদন দাখিলের সময় পেছানোর কারণ জানতে প্রশ্ন করেন। প্রশ্নের উত্তরে খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘আমাদের তদন্তের অগ্রগতি রয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা হিসেবে যখনই মামলা তারিখ পড়ে, তখনই আদালতে আমাদের কিছু প্রতিবেদন জমা দিতে হয়। তদন্তের যে অগ্রগতি, সেই প্রতিবেদন কিন্তু আমরা আদালেতে জমা দিয়েছি।’
‘প্রতিবেদনে কী বলা হয়েছে?’, এমন প্রশ্নের জবাবে আল মঈন বলেন, ‘সেখানে বেশকিছু তথ্য-উপাত্ত আমরা সাবমিট করেছি আদালতে। আদালত আমাদের বলেছেন, আরও পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের অবকাশ রয়েছে। এজন্য আদালত থেকে আমাদের সময় দেওয়া হয়েছে।’
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের তদন্তের যে প্রেক্ষাপট, সেখানে আমরা চাইব না, যাতে একজন নিরাপরাধ ব্যক্তিও ভুক্তভোগী হয়। সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আদালত আমাদের সময় দিচ্ছেন। আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
কবে নাগাদ প্রতিবেদন জমা দিতে পারবেন—প্রশ্নে র্যাবের এই মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা যখন আদালতে তথ্য-উপাত্ত দিচ্ছি, তখন কিন্তু আদালতই নির্ধারণ করছেন, রায় ঘোষণার জন্য এ তথ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ কি না বা এখানে আরও তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে কি না। আদালত সেজন্য আমাদের সময় দিচ্ছে। তখন আদালত আমাদের কিছু বিষয় বলে দিচ্ছেন, আমরাও সে অনুযায়ী কাজ করছি।’
সাংবাদিক আবারও বলেন, ‘তাহলে কি টাইম ফ্রেম বলা সম্ভব না?’ জবাবে খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘না, সম্ভব না।’
কেন বারবার প্রতিবেদন দিতে দেরি হচ্ছে, এই প্রশ্নের জবাবে খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডে যারা সরাসরি জড়িত, মূলত তাদের খুঁজে বের করতেই এ প্রতিবেদন জমা দিতে দেরি হচ্ছে।’