স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন, ধর্ষণ মামলায় যুবক কারাগারে
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার যুবককে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত কাওসার মিয়া (১৯) জেলার দৌলতপুর উপজেলা বাসিন্দা।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর কিশোরীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ঘিওর থানায় গত বৃহস্পতিবার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়। পরে ওই দিনই আসামিকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার এজাহারে জানা যায়, সাত থেকে আট মাস আগে ওই কিশোরীর সঙ্গে আসামির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর বিয়ের প্রলোভনে আসামি গত ৮ মে দিবাগত রাত ১০টার দিকে কিশোরী ঘরে ঢোকেন। পরে মেয়েটির সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কে জড়ায়। এরপর আসামি আবার গত ১৯ মে দিবাগত রাতে ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। এ সময় কিশোরীর পরিবারের লোকজন অভিযুক্ত কাওসারকে আটক করে। এ ঘটনা স্থানীয়ভাবে মীমাংসায় চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে কিশোরীর বাবা ঘিওর থানায় মামলা করেন। পরে আসামিকে পুলিশে সোপর্দ করেন।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ঘিওর থানার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রাসেল খান জানান, আসামি বর্তমানে জেলহাজতে আছেন। ভিকটিমের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। মূলত মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে, শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানিয়া সুলতানা জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে পুলিশ আসামি ও ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে ঘিওর থানায় আনে। পরে কিশোরীকে মেডিকেল পরীক্ষা ও তাঁর জবানবন্দি নিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মেডিকেল পরীক্ষার ফলাফল হাতে পেতে একটু সময় লাগে। অভিযুক্ত আসামি ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে আসছিলেন। আসামিকে আদালতে চালান করলে বিচারক তাঁকে জেলে পাঠানো নির্দেশ দেন।