স্বাধীনতা রক্ষায় সব ধরনের চেষ্টা করব : ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম পুলিশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনারা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন। আমরা কথা দিতে পারি, এই স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য আমরা সব ধরনের চেষ্টা করব। যারা এই স্বাধীনতা নস্যাৎ করার চেষ্টা করবে, আমরা জেগে আছি, জাতির ক্রান্তিকালে অবশ্যই তাদের প্রতিহত করা হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে পুলিশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন।
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জাতির পিতার ভাস্কর্য নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে, সেটা কেউ করতে পারবে না। এই দেশে থাকতে হলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মানতে হবে, তাঁকে স্বীকার করতেই হবে। যারা মানবে না তারা ও তাদের পরিবার এই দেশে থাকতে পারবে না। স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ করেছিল পুলিশ বাহিনী, এটাই আমাদের অহংকার। পুলিশের শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ বুকে ধারণ করে কাজ করলে তাঁদের আত্মা শান্তি পাবে।’
অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আব্দুল জলিল মণ্ডল বলেন, ‘বিজয় দিবস, বাংলাদেশের পতাকা, স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু একই সূত্রে গাঁথা। একটি ছাড়া অন্যটি চলে না। পৃথিবীর অনেক দেশ বাংলাদেশকে চেনে না কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে ঠিকই চেনে। তাঁর সম্মান আমাদের রক্ষা করতেই হবে।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দীন আহমেদ বীরবিক্রম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে অপমান করা মানে বাংলাদেশ, জাতীয় পতাকা, স্বাধীনতা ও সংবিধানকে অপমান করা। বঙ্গবন্ধুর সম্মান রক্ষার জন্য প্রয়োজনে আপনারা ঝাঁপিয়ে পড়বেন। রাজারবাগ থেকেই প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে তোলে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের কয়েকদিন পরই রাজারবাগে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করা হয়, এটি পুলিশের একটি অর্জন।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার, যুগ্ম কমিশনার, উপকমিশনারসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা শহিদ হয়েছেন তাঁদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে মোট ১৬ জন বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। আগত বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে থেকে কয়েকজন সদস্য মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন তাদের দুঃসাহসিক অভিযানের বর্ণনাসহ বিভিন্ন স্মৃতিচারণা করেন। এই সময়ে অনেকে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।