এমপি রানার জামিন কেন নয়
টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানার জামিন কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রানার জামিন আবেদনের শুনানি শেষে আজ বুধবার বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও মো. খসরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে শুনানিতে আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার ও বশির আহমেদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তাঁকে সহযোগিতা করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুর রহমান চৌধুরী টিকু।
২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রানার জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।
এর আগে একই বছরের ২৮ নভেম্বর সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রানার জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছিলেন।
২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এমপি রানার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।
আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য ফারুক আহমেদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় আমানুর রহমান খান রানা গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। এমপি রানা বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে আছেন।
ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি এমপি আমানুর রহমান খান রানা ও তাঁর তিন ভাইকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।
এমপি রানার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা ও ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাঁকনও ওই হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি।