খালাস চাইলেন তারেক সাঈদও
নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুন মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আরো দুই আসামি খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেছেন। তাঁরা হলেন তারেক সাঈদ ও পূর্ণেন্দু বালা।
আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আপিল দায়ের করা হয়। এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি জানিয়েছেন তারেক সাঈদের আইনজীবী আহসানউল্লাহ।
এর আগে গতকাল সোমবার মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনসহ কয়েকজন আসামি খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন।
চলতি মাসের ১৬ তারিখে নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় ২৬ জনকে। রায়টি ঘোষণা করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন।
এ মামলার মোট ৩৫ আসামির মধ্যে যে ২৬ জন ফাঁসির দণ্ড পান—নূর হোসেন, মো. মিজানুর রহমান দীপু, চাকরিচ্যুত লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, চাকরিচ্যুত মেজর মো. আরিফ হোসেন, চাকরিচ্যুত লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম এম রানা, মো. মোখলেছুর রহমান, মো. মহিউদ্দিন মুন্সী, ল্যান্স নায়েক হিরা মিয়া, সিপাহি আবু তৈয়ব, সেলিম, সানাউল্লাহ সানা, শাহ জাহান, জামাল উদ্দিন, আসাদুজ্জামান নূর, পূর্ণেন্দু বালা, আরওজি আরিফ হোসেন, সৈনিক আল আমিন, তাজুল ইসলাম, সার্জেন্ট এনামুল কবির, বেলাল হোসেন, শিহাব উদ্দিন, মোর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, আবুল বাশার, রহম আলী ও এমদাদুল হক।
তাঁদের মধ্যে প্রধান আসামি নূর হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছিলেন।
এই ২৬ জনের মধ্যে পলাতক রয়েছেন নয়জন। তাঁরা হলেন—মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান, সৈনিক মহিউদ্দিন মুনসী, সৈনিক আল আমিন, সৈনিক তাজুল ইসলাম, সার্জেন্ট এনামুল কবির, নূর হোসেনের সহযোগী সেলিম, সানাউল্লাহ ছানা, ম্যানেজার শাহজাহান ও ম্যানেজার জামাল উদ্দিন।
বাদীপক্ষের অভিযোগ, নূর হোসেনের নির্দেশেই ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা লিংক রোডের খানসাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের পাশ থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের তৎকালীন কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, তাঁর সহযোগী সিরাজুল ইসলাম লিটন, মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তাঁর গাড়িচালক ইব্রাহিমকে অপহরণ করে র্যাব-১১।
পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের এবং ১ মে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি এবং চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে আলাদা দুটি মামলা করেন।
মামলা দুটির রায়ে মোট ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বাকি নয় আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন আদালত। এ দুই মামলার ১২ আসামি এখনো পলাতক।