রায়ে অসন্তুষ্ট, উচ্চ আদালতে যাবেন জিহাদের বাবা
পাইপে পড়ে শিশু জিহাদ নিহত হওয়ার মামলায় চারজন সাজা পেলেও বাকি দুজনের খালাস হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তার বাবা নাসির ফকির। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা বলেছেন তিনি।
আজ রোববার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় এনটিভি অনলাইনকে এসব কথা বলেন নাসির।
জিহাদের বাবা জানান, একই অভিযোগে চারজনের সাজা হলেও বাকিরা খালাস পাওয়ায় তিনি অস্বস্তি বোধ করছেন।
দুপুরে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান এই দণ্ডাদেশ দেন। এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি যুক্তি উপস্থাপন শেষে তিনি রায়ের দিন ধার্য করেন।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ১১ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। মামলার আসামিরা ছিলেন রেলওয়ের জ্যেষ্ঠ উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসআর হাউসের মালিক মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে আবদুস সালাম, কমলাপুর রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার জাফর আহমেদ সাকি, সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) দীপক কুমার ভৌমিক ও সহকারী প্রকৌশলী-২ মো. সাইফুল ইসলাম। তাঁরা সবাই জামিনে ছিলেন।
আজ রায়ে উল্লিখিত প্রথম চারজনের প্রত্যেককে ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন শেষের দুজন। এ ছাড়া দণ্ডাদেশ পাওয়া চারজনকে দুই লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিকেল ৩টার দিকে জিহাদ পাইপে পড়ে যায়। পরে গণমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। রাতভর ফায়ার সার্ভিস তাদের উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে ব্যর্থ হয়।
পরের দিন দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান শিশুটি পাইপে নেই বলে ঘোষণা দিয়ে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করেন। এর পর শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ করেন মজিদ, লিটু ও আনোয়ার নামের তিন ব্যক্তি। তাঁদের তৈরি একটি ক্যাচারের মাধ্যমে জিহাদকে টেনে তোলা হয়।
ওই ঘটনায় জিহাদের বাবা নাসির উদ্দিন ফকির ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর একটি মামলা করেন। পরে গত বছরের ৩১ মার্চ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। অভিযোগপত্র দাখিলের পর মামলাটি বিচারের জন্য বিশেষ জজ আদালতে বদলি হয়ে আসে।
গত বছরের ৪ অক্টোবর ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।