কুমিল্লায় জঙ্গি হামলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিনেতা মুফতি হান্নানকে বহনকারী প্রিজনভ্যানে এবং কুমিল্লায় পুলিশের ওপর জঙ্গিদের হামলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহী নগরীর শাহ মখদুম থানার নতুন ছয়তলা নতুন ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘বিশ্ব যখন জঙ্গিদের ভয়ে তটস্থ, তখন আমরা মাথা উঁচু করে বলতে পারি জঙ্গিবাদ নির্মূল না করতে পারলেও নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত ভালো। এ দেশের মানুষ ধর্ম-কর্মে বিশ্বাসী। কিন্তু অধর্মে বিশ্বাসী নয়। তারা সমাজের কল্যাণের জন্য রুখে দাঁড়ায়। বাংলাদেশের মানুষ কখনই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেয় না। তারা প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, ‘আর আমাদের পুলিশ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জীবন বাজি রেখে তাদের শক্ত হাতে মোকাবিলা করেছে। এই সাফল্য সবার। যতদিন সাধারণ মানুষ এক থাকবে, ততদিন এ দেশে জঙ্গিবাদ মাথা চাড়া দিতে পারবে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গি দমনের জন্য স্বল্প পরিসরে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। তবে সরকার দেশব্যাপী কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে আরো শক্তিশালী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এককথায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য যা যা করা দরকার, আমরা তাই করব।’ তিনি আরো বলেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে দেশে জঙ্গিরা বিছিন্ন ঘটনা ঘটাচ্ছে। এ ষড়যন্ত্র দেশের বিরুদ্ধে, ধর্মের বিরুদ্ধে। আশার কথা, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। পুলিশ ও জনগণ মিলে জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ করেছে। তবে এখনো জঙ্গিদের নির্মূল করা সম্ভব হয়নি।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘দেশের মানুষকে নিরাপত্তা দিতে না পারলে আমাদের উন্নয়ন ভেস্তে যাবে।’ তাই জঙ্গিবাদ দমনে সব ধরনের পদক্ষেপ সরকার গ্রহণ করছে বলে জানান তিনি।
মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও বিভাগীয় কমিশনার মো. নূর-উর-রহমান বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান মঞ্চে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী, আকতার জাহান ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী রাজশাহীর পবা থানার নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন। প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে পবা ও শাহ মখদুম থানা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে পবা থানা কমপ্লেক্স নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ছয় কোটি ও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারসহ শাহ মখদুম থানা কমপ্লেক্স নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় আট কোটি টাকা।