খুলনায় ‘পেটে বাতাস ঢুকিয়ে’ শিশু হত্যা
সিলেটে শিশু রাজন হত্যাকাণ্ডের রেশ না কাটতেই খুলনায় নির্মমভাবে এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে নগরীর টুটপাড়া সেন্ট্রাল রোডে এ ঘটনা ঘটে।
urgentPhoto
পরিবার, প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, নিহত শিশুর নাম রাকিব (১২)। গ্যারেজে কাজ ছেড়ে দেওয়ার অপরাধে মোটর টায়ারে পাম্প দেওয়ার পাইপ মলদ্বারে প্রবেশ করিয়ে হত্যা করা হয় তাকে। এ ঘটনায় গ্যারেজ মালিক মিন্টুসহ আরো তিনজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস জানান, মিন্টুর মোটর গ্যারেজে কাজ করত রাকিব। হঠাৎ সে কাজ ছেড়ে অন্য গ্যারেজে কাজ নেয়। এ ঘটনার পর গতকাল রাত ১০টার দিকে রাকিব তার পুরোনো কর্মস্থলের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় মিন্টু কাজ ছেড়ে দেওয়ার অপরাধে রাকিবকে ধরে এবং মোটর টায়ারের পাম্প দেওয়া মেশিনের পাইপ রাকিবের মলদ্বারে ঢুকিয়ে হওয়া দেয়। বাতাস ঢুকে রাকিবের পেট ফুলে যায়। অসুস্থ অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আশপাশের লোকজন গ্যারেজ মালিক মিন্টু, তার ভাই শরীফকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ছাড়া ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মিন্টুর মা বিউটি বেগমকেও পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাকিবের মৃত্যু হয়। গণপিটুনিতে আহত মিন্টু ও শরীফকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, আজ সকাল ১০টার দিকে খুলনা মহানগর পুলিশ কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় এলাকাবাসী ঘাতকদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ ছাড়া রাকিবের মা আমেনা বেগম তাঁর ছেলে হত্যায় জড়িতদের বিচার চেয়েছেন।
এর পর শিশুটির বাবা নুরুল আলম বাদী হয়ে খুলনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় আটক তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গত ৮ জুলাই সিলেট শহরতলির কুমারগাঁওয়ে চোর সন্দেহে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় শিশু সামিউল আলম রাজনকে (১৩)।