সরকারের শেষ বছরে বড় হলো মন্ত্রিসভা
সরকারের শেষ বছরে এসে কলেবর বাড়ল মন্ত্রিসভার। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন চারজন। এর মধ্যে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ছাড়া অন্য তিনজন প্রথমবারের মতো যোগ দিলেন মন্ত্রিপরিষদে।
আজ মঙ্গলবার বঙ্গভবনে পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামাল এবং তথ্য প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার।
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী।
তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। শুরুতেই রাষ্ট্রপতি পূর্ণমন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করান। এরপর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন কাজী কেরামত আলী।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন, আগামীকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকের পর জানা যাবে নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা কোন কোন দপ্তরের দায়িত্ব পাবেন।
তাঁদের মধ্যে প্রতিমন্ত্রী থেকে পূর্ণমন্ত্রী হলেন নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। অন্য তিনজনের মধ্যে এ কে এম শাহজাহান কামাল ও কাজী কেরামত আলী সংসদ সদস্য।
টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রিসভায় যুক্ত হলেন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোস্তাফা জব্বার।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নিলে যাত্রা শুরু হয় ১৪ দলীয় জোট সরকারে। পরের মাসে ২৬ ফেব্রুয়ারি দুজন যুক্ত হন, মন্ত্রিসভায়। এরপর ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই আরেক দফায় মন্ত্রিসভার শপথের মাধ্যমে দুজনের পদোন্নতি আর তিনজন নতুন করে যুক্ত হয়েছিলেন। সর্বশেষ এ চারজনের শপথের মধ্যদিয়ে মন্ত্রিসভা পেল নতুন তিন মুখ।
খুলনা ৫ আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। ২০১৪ সালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। ওই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন ছায়েদুল হক। গত ১৬ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এ কে এম শাহজাহান কামাল লক্ষ্মীপুর ৩ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তিনি বর্তমান সংসদের সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য।
মোস্তাফা জব্বার তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি। তিনি বিজয় কী বোর্ডের উদ্ভাবক। ওই সফটওয়্যারের কম্পিউটারে বাংলায় লেখা যায়। তিনি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে একাধিক বই লিখেছেন।
কাজী কেরামত আলী রাজবাড়ী ১ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তিনি বর্তমান সংসদের সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি। একইসঙ্গে তিনি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য।