নুসরাত হত্যা : পাহাড়ে এসেও লাভ হলো না রানার
ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাঙামাটি থেকে ইফতেখার হোসেন রানা নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গতকাল শনিবার রানাকে রাঙামাটি শহরের টিঅ্যান্ডটি এলাকার আবাসিক কোয়ার্টার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল।
পিবিআই কর্মকর্তা আরো জানান, নুসরাত হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নন রানা। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জবানবন্দি ও জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে রানার নাম এসেছে। তাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া একই দিন কুমিল্লা থেকে ইমরান নামে আরো একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি এজাহারভুক্ত আসামি নন। আজ তাদের দুজনকে আদালতে হাজির করা হবে।
নুসরাত হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আট আসামিসহ মোট ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। তাদের মধ্যে ১৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর মধ্যে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ স্থানীয় দুজন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতাও রয়েছেন।
রাঙামাটির পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া রানা সোনাগাজীর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ফাজিলের শিক্ষার্থী এবং নুসরাত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের একজন। তিনি নুসরাতের পরের ব্যাচের শিক্ষার্থী। এই হত্যাকাণ্ডের পর সারা দেশে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হলে একের পর আসামিরা ধরা পড়তে থাকে। এই সময় সুযোগ বুঝে নিজেকে বাঁচাতে রাঙামাটিতে বাবার কর্মস্থলে চলে আসেন রানা। সম্ভবত রানা ধারণা করেছিলেন, পাহাড়ি এলাকায় তাঁকে সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু পিবিআই ঠিকই তাঁকে খুঁজে বের করে ফেলে।
রানার বাবা জামাল উদ্দিন রাঙামাটি টিঅ্যান্ডটিতে লাইনম্যান হিসেবে কর্মরত আছেন। সোনাগাজী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন চরগণেশ গ্রামের ঈমান আলী হাজিবাড়ির বাসিন্দা জামাল উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে রাঙামাটিতে কর্মরত আছেন এবং তাঁর পরিবার ফেনীর সোনাগাজীতেই বসবাস করে।
মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে এবং আগে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের জবাবন্দির ভিত্তিতেই ইফতেখার হোসেন রানাকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই, এমন তথ্যই জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র।