শমসের মবিন বলি হওয়ার মতো ব্যক্তি নন
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী সম্পর্কে দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘তিনি পদত্যাগ করেননি। তিনি অব্যাহতি নিয়েছেন। তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিচ্ছেন স্বাস্থ্যগত কারণে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের দলে কোনো কোন্দল নেই। শমসের মবিন সাহেব বলি হওয়ার মতো কোনো ব্যক্তি নন।’
urgentPhoto
আজ শুক্রবার বেলা ৩টায় সিলেটের দরগাহ গেট এলাকায় একটি হোটেলের কনফারেন্স হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
এর আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সিলেটে ব্যক্তিগত সফরে এসে হযরত শাহজালাল (রহ.) ও শাহ পরান (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত ও জুমার নামাজ আদায় করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল হক, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, সদস্য সচিব বদরুজ্জামান সেলিম ও কেন্দ্রীয় সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শমসের মবিন রাজনীতি থেকে অবসর নিচ্ছেন স্বাস্থ্যগত কারণে। যেহেতু তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিচ্ছেন, সেহেতু সকল পদ থেকে তিনি অব্যাহতি নিয়েছেন। সুতরাং প্রথম কথাটিই হচ্ছে তিনি পদত্যাগ করেননি। তিনি অব্যাহতি নিয়েছেন এবং সেটা তিনি আমাদের দলের চেয়ারপারসনের কাছে চিঠি দিয়েছেন। তাঁর এ অবসর গ্রহণপত্র এখন পর্যন্ত চেয়ারপারসনের কাছে পৌঁছায়নি। যেহেতু তিনি বিদেশে আছেন। তিনি এলে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপি একটা বিশাল দল। তিনবার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে ছিল। অত্যন্ত সফলভাবে ছিল। বিগত প্রায় ৩৫ বছর ধরে বিএনপি এ দেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। একজন মানুষ চলে গেলে দলের ক্ষতি খুব একটা হয় না। স্বাস্থ্যগত কারণে চলে গেলে তো কারো কিছু করার নেই্। স্বাভাবিকভাবে উনি (শমসের মবিন) ব্যক্তিগতভাবে যেতে পারেন। সেখানে বিএনপির মধ্যে বহু লোক আছে যাঁরা এ কাজগুলো করেছেন, করছেন এবং ভবিষ্যতে করবেন।’
শমসের মবিন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘তিনি অসুস্থ বলেই চলে গেছেন। বিএনপিতে একজন কূটনীতিক নেই। বিএনপিতে অসংখ্য কূটনীতিক আছেন। যাঁরা সফল কূটনীতিক ছিলেন তাঁরা আছেন। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আছেন। সুতরাং বিএনপি কখনো দেউলিয়া রাজনৈতিক দল নয়।’
বিএনপি সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি শহীদ জিয়ার প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল। শহীদ জিয়ার আদর্শ অনুসরণ করেই বিএনপি এগিয়ে চলেছে দীর্ঘদিন ধরে। তিনবার বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে এসেছে। এখনো বিএনপি এ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল।’
দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ ধরনের হত্যাকাণ্ডে (বিদেশি হত্যাকাণ্ড) বহির্বিশ্বের কাছে দেশ ও জাতির ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সমগ্র বিশ্বে যে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে সন্ত্রাসবাদের ব্যাপারে, সে সন্ত্রাসবাদের ব্যাপারে আমরা আহ্বান জানিয়েছি গোটা জাতিকে, এ ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত। জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা উচিত এর বিরুদ্ধে।’
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘তদন্ত শুরু হওয়ার আগেই বলা হচ্ছে বিএনপি করেছে। বিএনপি কোনোভাবেই কোনো হত্যার রাজনীতি করে না। বিএনপি জঙ্গিবাদে বিশ্বাস করে না। বিএনপির আমলে সব জেলায় যে বোমা ফুটেছিল আপনারা দেখেছেন বিএনপি সরকার তাদের গ্রেপ্তার করেছিল। তাদের বিচারের আওতায় এনেছিল এবং বিচার শুরু করেছিল।’