ফি নির্ধারণে উদার দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি শিক্ষামন্ত্রীর আহ্বান
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষার্থীদের টিউশন ফিসহ বিভিন্ন ব্যয় নির্ধারণে উদার দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের জন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী এ আহ্বান জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতির মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে তিনি এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
জনগণের আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের সব ধরনের ব্যয় একটি সীমা পর্যন্ত নির্ধারিত রাখার আহ্বান জানিয়ে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ব্যবসা ও মুনাফার চিন্তা ত্যাগ করে সেবার মনোভাব নিয়ে জনকল্যাণে শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রাখতে এগিয়ে আসতে হবে।
মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজ কনভেনশন হলে এ সমাবর্তনে আরো বক্তৃতা করেন সমাবর্তন বক্তা অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কে এম মোহসীন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ডা. মুহম্মদ শহীদুল কাদির পাটোয়ারী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মুনাফার উদ্দেশ্যে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছিল, সরকার এরই মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসা ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে স্বার্থ হাসিল করতে চাইবে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার সম্ভাবনার যে দ্বার উন্মোচন করেছে, তা সফল করে তুলতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি।
সরকার সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকারী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করে না উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘তারা সকলে আমাদের সন্তান, জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের সকলের জন্যই আমরা মানসম্মত শিক্ষা ও প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে চাই।’
অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, সুশিক্ষিত হতে হলে মনন চর্চা করতে হবে। তবেই প্রকৃত শিক্ষা অর্জিত হবে। বিদ্যাশিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে বিবেক-বুদ্ধি ও মনুষ্যত্বের জাগরণ ঘটানোই হলো প্রকৃত শিক্ষা। কিন্তু বর্তমানে বাজারমুখী ও কর্মসংস্থানমুখী শিক্ষা হওয়ায় মনন চর্চা হচ্ছে না।