‘উত্ত্যক্তকারীরা আমার বোনকে মেরে ফেলেছে’
উত্ত্যক্তকারীদের গাড়ির ধাক্কায় আহত এক স্কুলছাত্রী আজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার কাকজোর গ্রামের ময়না আক্তার (১৫) তিন দিন আগে আহত হয়েছিল। শনিবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় সে।
ময়না ওই গ্রামের তৈয়ব আলীর মেয়ে এবং কেল্লাই মনসুর উদ্দিন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। জেলা সদর হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে আজ রোববার সন্ধ্যায় তার লাশ দাফন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পার্শ্ববর্তী শোলধারা গ্রামের রাব্বি হোসেন (২২) ও সোহান হোসেনের (২৩) বিরুদ্ধে ঘিওর থানায় মামলা করেছেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা।
নিহতের ভাই আশিক হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, গত বৃহস্পতিবার স্কুল ছুটির পর সহপাঠীদের সঙ্গে ময়না বানিয়াজুরী-কেল্লাই সড়ক দিয়ে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় পথের মধ্যে পিকআপভ্যান নিয়ে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করছিলেন রাব্বি ও তাঁর বন্ধুরা। তাঁরা পিছু নিয়ে ময়নাকেও উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। একপর্যায়ে পিকআপ ভ্যান দিয়ে ময়নাকে ধাক্কা দিয়ে পাশের খাদে ফেলে দেন উত্ত্যক্তকারীরা।
গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে ময়নাকে স্থানীয় গিলন্ড মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বিকেলে মারা যায় ময়না।
‘রাব্বি ও তার বন্ধুরা আমার বোনকে মেরে ফেলেছে’, কাঁদতে কাঁদতে বলেন ময়নার ভাই।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় শনিবার রাতে মামলা হয়। মামলার পর পরই পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।