সম্পত্তি না পাওয়ার আশঙ্কায় ২ শিশুকে হত্যা?
বাবা ও সৎ মায়ের ওপর ক্ষোভ ছিল। সেই সঙ্গে সম্প্রতি যুক্ত হয় পৈত্রিক সম্পত্তি না পাওয়ার আশঙ্কা। এই কারণে কুমিল্লায় শিশু দুই সৎ ভাইকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
দুই শিশু হত্যা মামলার প্রধান আসামি সফিউল ইসলাম ছোটনকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. আবিদ হোসেন।
গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে ঢাকার মালিবাগে অবস্থিত টুইন টাওয়ারের সামনে থেকে ছোটনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
গত শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঢুলীপাড়ার দক্ষিণ রসুল এলাকার আবুল কালামের বাড়ি থেকে দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান মেহেদী হাসান জয় (৯) ও মেজবাহুল হক মনির (৬) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শিশু দুটির গলায় আঙুলের ছাপ ছিল।
ঘটনার পর শিশু দুটির বাবা আবুল কালাম জানিয়েছেন, তাঁর প্রথম সংসারের বড় ছেলে ছোটন ও ছোটনের মা এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।
আজ পুলিশ সুপার মো. আবিদ হোসেন জানান, আবুল কালামের দুই স্ত্রী। প্রথম স্ত্রীর ঘরে এক ছেলে ও তিন মেয়ে। এর মধ্যে দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ছেলে সফিউল ইসলাম ছোটন ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএতে পড়েন। ছোট মেয়ে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। প্রথম স্ত্রী তাবলিগ জামাতের সাথী হয়ে বিভিন্ন স্থানে দাওয়াতের কাজ করেন। আর দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে জয় ও মনি নামের দুই ছেলে রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ছোটনকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি।
পুলিশ সুপার জানান, ছোটন জানিয়েছেন, তাঁর বাবা আবুল কালাম ১০ বছর আগে তাঁর মাকে রেখে আরেকটি বিয়ে করেন। এরপর থেকেই তাঁর বাবা ও সৎমা তাঁদের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ শুরু করেন এবং তাঁর লেখাপড়ার খরচ কমিয়ে দেন। সর্বশেষ জানতে পারেন, তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্ছিত করা হবে। এসব ক্ষোভের কারণে তিনি ঢাকা থেকে কুমিল্লার বাড়িতে গিয়ে তাঁর ছোট দুই সৎভাই জয় ও মনিকে একাই রশি দিয়ে বেঁধে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন। এরপর ঢাকায় চলে আসেন।