হজের টাকা আত্মসাৎ, মন্ত্রণালয় থেকে নথি গায়েব!
গত বছর হজে ৪৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে সাবেক ধর্মসচিব চৌধুরী মোহাম্মদ বাবুল হাসান ও হাবের সিনিয়র নেতাদের যোগসাজশে এর নথি মন্ত্রণালয় থেকে গায়েব করে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত ধর্মসচিব।
urgentPhoto
তবে হাবের নেতাদের দাবি, ধর্মমন্ত্রী ও সাবেক সচিবকে জানিয়েই সব টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আবদুল জলিল বলেন, ‘একটা নথি আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। নথি মিসফাইল হতে পারে, মিসিং হতে পারে। আমরা খুঁজছি এবং যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁদের কাছে বিধি মোতাবেক আমরা জবাব চেয়েছি। তাঁরা জবাব দাখিল করেছেন। নথিটা যদি মিসফাইল হয়, আশা করছি তা পেয়ে যাব। কিংবা নথিটা যদি কেউ ইচ্ছা করে মিসফাইল করে থাকে তবে শ্যাডো ফাইলটা দিয়ে আমরা কাজ করতে পারব।’
এ সময় নথি খুঁজে না পাওয়ার পেছনে যদি কারো হাত থেকে থাকে সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত এই সচিব।
গত বছর অতিরিক্ত পাঁচ হাজার হজযাত্রীর যাওয়াকে ঘিরে সরকারের তরফ থেকে ফেরত দেওয়ার শর্তে ৩৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়। রেজিস্ট্রেশনের বাইরে অতিরিক্ত টাকায় হজযাত্রী যাওয়া নিয়ে ওই কমিটির দুর্নীতি তখন প্রকাশ পায় গণমাধ্যমে। আয়-ব্যয়ের হিসাব চেয়ে মন্ত্রণালয় হাবের সিনিয়র নেতাদের গঠিত কমিটিকে বারবার তাগাদা দিলেও শেষ কিস্তির ১৬ কোটি টাকা ফেরত দেয়নি বলে অভিযোগ করে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
তবে হাবের নেতাদের দাবি, ধর্মমন্ত্রী ও সাবেক সচিবের কাছেই রয়েছে তাঁদের ফেরত দেওয়া অর্থের নথি।
হাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘সাবেক সচিব, বর্তমান কর্মকর্তাসহ যাঁরা আছেন, তাঁরা এ বিষয়ে আমাদের কাছে ব্যাখ্যা চাইলে ব্যাখ্যা প্রস্তুত আছে।’
এ ছাড়া হাব সভাপতি ইব্রাহিম বাহারসহ বর্তমান কমিটির বেশ কিছু সিনিয়র নেতার বিরুদ্ধে চলা ওমরার নামে মানবপাচারের অভিযোগে মন্ত্রণালয়ের শাস্তি খুব শিগগির বাস্তবায়ন হবে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।