বেতনের ঘোষণার পরও খুলনায় শ্রমিকদের সড়ক-রেলপথ অবরোধ
সরকারের আহ্বান ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণার পরও খুলনা অঞ্চলের সাতটি জুট মিলের শ্রমিকরা সড়ক-রেলপথ অবরোধ শুরু করেছেন। আজ বুধবার সকাল ৬টায় শুরু হওয়া এ অবরোধের ফলে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাট শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমও বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
পুলিশের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ তাঁরা এখনো পাননি।
বকেয়া মজুরি, মজুরি বৃদ্ধিসহ পাঁচ দফা দাবিতে ৪ এপ্রিল রাষ্ট্রায়ত্ত জুট মিল সিবিএ-ননসিবিএ ঐক্য পরিষদ অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট, সড়ক-রেলপথ অবরোধ শুরু করে।
খুলনা অঞ্চলের সাতটি জুট মিলের ১৪ শ্রমিক গতকাল পাট মন্ত্রণালয়ে গেলেও তাঁদের সঙ্গে কোনো বৈঠক হয়নি। ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন জানান, তাঁরা এখনো ঢাকায় অবস্থান করছেন। আজ দুপুর আড়াইটায় তাঁদের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের কথা রয়েছে। তিনি বলেন, ফলপ্রসূ আলোচনা এবং মজুরি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, শ্রমিক নেতাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় খুলনায় বিরূপ ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেকে। গতকাল রাতেই বিভিন্ন মিলগেটে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
আজ সকাল ৬টায় শ্রমিকরা কাজে যোগদান না করে প্রথমে মিল গেটে জড়ো হন। পরে লাঠিমিছিল আর মাটির বাসন নিয়ে খালিশপুর নতুন রাস্তা এবং আটরা শিল্প এলাকার ইস্টার্ন গেটে গিয়ে সড়ক-রেলপথ অবরোধ শুরু করেন। এ সময় শ্রমিকরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে এবং কাঠের গুঁড়ি দিয়ে প্রতিরোধ সৃষ্টি করেন।
আজও সড়কের ওপর শামিয়ানা টানিয়ে সমাবেশ চলছে। এতে সভাপতিত্বে করছেন প্রবীণ শ্রমিক নেতা শাহ আলম।
খুলনা রেলস্টেশনের সহকারী ম্যানেজার ফজলু শেখ জানান, তাঁরা খুলনা থেকে কোনো ট্রেন ছাড়তে বা ঢুকতে দিতে পারছেন না। বিকল্প হিসেবে যশোরের নওয়াপড়া থেকে ঢাকামুখীসহ অন্য ট্রেন চলাচল করছে।
তবে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পয়লা বৈশাখের ছুটিতে আসা যাত্রীরা। ঈগল পরিবহনের ম্যানেজার জানান, খুলনামুখী সব নাইটকোচ নওয়াপাড়া-খালিশপুর বাদ রেখে দীর্ঘপথ ঘুরে চুকনগর-ডুমুরিয়া হয়ে খুলনায় প্রবেশ করছে।