‘জাসদের বিদ্রোহীদের ব্যাপারে বিবেচনা করবে সংসদ’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) বিদ্রোহী সংসদ সদস্যের বিষয়ে জাতীয় সংসদ বিবেচনা করবে।
আজ রোববার রাজধানীর শেরে বাংলানগরে নিজ কার্যালয়ে এ কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শাহনেওয়াজ বলেন, ‘হাসানুল হক ইনু যে দলটার সভাপতি এবং শিরীন আখতার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করছে সেই দলটাকেই আমরা মশাল ব্যবহার করতে বলেছি।’
যারা মশাল প্রতীক পায়নি তাদের মধ্যে যারা মশাল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন তাঁদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চাইলে শাহনেওয়াজ বলেন, ‘এটা সংসদ বিবেচনা করবে, এটা আমাদের বিবেচ্য বিষয় নয়। আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্র এবং আইন অনুসারে আমাদের নিবন্ধিত দল হিসেবে ধরেছি। আমরা শুধু সেটাই বিবেচনা করেছি।’
শাহনেওয়াজ বলেন, ‘জাসদের দুটি পক্ষ থেকে মশাল নিয়ে কারা নির্বাচন করবে আমাদের কাছে তা জানতে চেয়েছিল। এই কারণে আমরা দুই পক্ষকে দুই বেলা ডেকেছি, শুনেছি। তাঁদের যে গঠনতন্ত্র আছে তা ব্যাখ্যা করেছি এবং ব্যাখ্যা করে তাদের একটা দলকে বলেছি যে মশাল তারা ব্যবহার করবে। গঠনতন্ত্র অনুসারে যারা মশাল পাওয়ার কথা আমরা বিচার বিবেচনা করে তাদেরই মশাল ব্যবহার করতে দিয়েছি।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমরা ওত বিচার বিশ্লেষণে যাইনি কোথায় কি হয়েছে। আমরা দুই পক্ষের দাখিল করা কাগজপত্র বিবেচনা করেছি। কারণ সেখানে কে কোথায় ছিল তা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। কাগজপত্র অনুসারে গঠনতন্ত্রের যে ধারাসমূহ আছে যে বিষয়গুলো সাংঘর্ষিক নয় সে বিষয়গুলো বিবেচনা করে আমরা মনে করেছি যে হাসানুল হক ইনু জাসদের সভাপতি এবং শিরীন আখতার সাধারণ সম্পাদক। ঠিক সেইভাবে আমরা বিবেচনা করে তাদের মশাল প্রতীক ব্যবহার করতে বলে দিয়েছি।’
শাহনেওয়াজ বলেন, ‘আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি। কাজেই পরবর্তী যুক্তিগুলো উনারা যদি কোথাও আইনসঙ্গতভাবে বিবেচনা করে সেখানে করতে পারে।’ তিনি আরো বলেন, ‘জাসদের মশাল প্রতীক নিয়ে কয়জন সংসদ সংসদ্য আছেন, কে কে আছেন তা আমাদের বিবেচনায় ছিল না। আমাদের বিষয় ছিল জাসদ যে দলটা আমাদের নিবন্ধিত আছে, সেই নিবন্ধন অনুসারে আইন সঙ্গতভাবে কারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন। তাদের গঠনতন্ত্র অনুসারে আমরা সেটাই শুধু বিবেচনা করেছি।’