কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে করা রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ (আউট অব লিস্ট) করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি রাজিক-আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
 
রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ সাংবাদিকদের বলেন, আদালত বলেছে, তনু হত্যার বিষয়ে দায়ের করা মামলার তদন্ত চলমান। তাই আপনার রিট আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হলো।

হাইকোর্টের অন্য বেঞ্চে এই রিট আবেদনটি পুনরায় উপস্থাপন করা হবে বলেও জানান আইনজীবী ইউনুছ আলী। 
 
এর আগে গত ৪ এপ্রিল তনু হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। রিট আবেদনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তনু হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
 
রিটে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। পাশাপাশি ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়।
 
গত ২০ মার্চ রাতে  কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে নিজ বাসার অদূরে সোহাগী জাহার তনুর লাশ পাওয়া যায়। পাশেই ছিল তাঁর জুতা, ছেঁড়া চুল, ছেঁড়া ওড়না।
 
ভিক্টোরিয়া কলেজের স্নাতক শ্রেণির ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু কুমিল্লা ময়নামতি সেনানিবাসের ভেতরে অলিপুর এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তাঁর বাবা ইয়ার হোসেন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী।