১৬৮ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হবে
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা বলেছেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন ও সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের কাছে রায় লেখার অপেক্ষায় থাকা ১৬৮ মামলার পুনঃশুনানি হবে না। এগুলোর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে এ তথ্য জানান প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ।
বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন—বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।
ওই মামলাগুলোর পূর্ণাঙ্গ রায় আগামী এক মাসের মধ্যে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
এস কে সিনহা বলেন, ‘রিহিয়ারিংয়ের (পুনঃশুনানি) বিষয়ে অনেক গুঞ্জন হয়েছে। এসব মামলার শুনানি হচ্ছে না। অনেক দূর জল গড়িয়েছে। কেউ কেউ মারা গেছেন। চার-পাঁচ বছরের পুরোনো মামলাও আছে। দু-চারটি রিহিয়ারিং হতে পারে। আপনাদের কথা দিচ্ছি, এক মাসের মধ্যে রায় দিয়ে দেব। দায়িত্ব নিয়েছি।’
এর আগে সাবেক প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের কাছে থাকা ১৬৮টি মামলার পুনঃশুনানি করা হবে বলে গত ২৬ এপ্রিল ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি।
এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের কাছে রয়েছে ১৬১টি মামলা। বাকি সাতটি মামলা আছে সাবেক প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেনের কাছে। বেশির ভাগ মামলার রায় লেখার কাজ শেষ করেছিলেন ওই দুই বিচারপতি।
কিন্তু তাঁদের লেখা রায় গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা মামলাগুলো পুনঃশুনানি করার নির্দেশ দেন। এর পরপরই প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা অনুযায়ী প্রস্তুত ছিল এসব মামলার (পেপারবুক) নথিপত্র।
২০১৫ সালের ১ অক্টোবর আপিল বিভাগ থেকে অবসরে যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। অবসরে যাওয়ার সময় ১৬১টি মামলার রায় লেখার দায়িত্ব ছিল এই বিচারপতির। এসব মামলা তাঁর অবসরে যাওয়ার আগেই আপিল বিভাগ বিভিন্ন সময়ে শুনানি গ্রহণ সম্পন্ন করেন। পাশাপাশি সংক্ষিপ্ত আদেশও জানিয়ে দেন। শুধু পূর্ণাঙ্গ রায় লেখার কাজ বাকি ছিল।
আর এমনই পরিস্থিতিতে বর্তমান প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা গত ১৭ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে এক বাণীতে অবসরের পর রায় লেখাকে সংবিধান পরিপন্থী হিসেবে উল্লেখ করেন।
ওই বাণীতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘কোনো কোনো বিচারপতি রায় লিখতে অস্বাভাবিক বিলম্ব করেন। আবার কেউ কেউ অবসর গ্রহণের পর দীর্ঘদিন সময় ধরে রায় লেখা অব্যাহত রাখেন, যা আইন ও সংবিধান পরিপন্থী।’