জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট : খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রিভিশন আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী।
ব্যারিস্টার রাগীব রউফ বলেন, ‘আমরা এ মামলার বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে (রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর) আজ নিয়মিত লিভ টু আপিল করেছি।’
বিচারের শেষ পর্যায়ে থাকা ওই মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে নতুন করে জেরার আবেদন নাকচের পর মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে দুটি আবেদন করলে ১৫ মে তা খারিজ হয়। এ মামলা পুরান ঢাকায় স্থাপিত বিশেষ আদালতে চলমান। আগামী ২ জুন এ মামলার শুনানির জন্য দিন ঠিক করা আছে।
এর আগে গত ১৭ এপ্রিল এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য নিয়ে আপত্তি তুলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরার আবেদন করলে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার তা নাকচ করে দেন। ওই আদেশ বাতিল চেয়ে পরদিন হাইকোর্টে দুটি আবেদন করেন বিএনপির চেয়ারপারসন। সেই আবেদনের ওপর তিন দিন শুনানি শেষে ১৫ মে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের বেঞ্চ তা খারিজ করে দেন।
হাইকোর্টের সে আদেশের বিরুদ্ধে আজ লিভ টু আপিল করেন খালেদা জিয়া।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে আসা অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য চার আসামি হলেন—তাঁর সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা এবং ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরের বছরের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।