সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি বিএনপির
ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। ‘সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য’ নির্বাচনের স্বার্থে আরো কিছু ‘পয়েন্ট’ তুলে ধরেছে দলটি।
আজ বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সঙ্গে বৈঠক করে নিজেদের দাবিগুলোর কথা জানায় বিএনপির সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। বেলা ৩টার দিকে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য হান্নান শাহর নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনে যান নেতারা। প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করেন তাঁরা।
বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশন থেকে বেরিয়ে হান্নান শাহ সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার জন্য বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের যাতে হয়রানি না করা হয়, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা। এ ছাড়া বিএনপির দলীয় কার্যালয় খুলে দেওয়া, পোলিং অফিসারের তালিকা প্রকাশ, আচরণবিধি সমভাবে প্রয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যও কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন নেতারা।
হান্নান শাহ বলেন, ‘আমরা আমাদের দলের তরফ থেকে কতগুলো পয়েন্ট ওনাদেরকে দিয়েছি। আমাদের অফিসগুলো তালাবদ্ধ থাকে, পল্টনের অফিস, ম্যাডামের অফিস অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। জেলা-উপজেলায় আমাদের অফিসগুলো তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। পুলিশ তালা দিয়ে রাখছে। এটা যাতে সরকার না করে। ইলেকশন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারকে যাতে অনুরোধ করে, এসব বেআইনি কার্যকলাপ যাতে না হয়। কারণ এতে ইলেকশনের ক্ষতি হবে।’
হান্নান শাহ আরো বলেন, ‘একদল অফিস খুলতে পারবে, আর আমরা পারব না, এটা হয় না। একটি নির্বাচন করতে গেলে যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের দরকার তার অন্যতম হলো এগুলো। আমরা যে অবাধে এবং সুষ্ঠুভাবে রাজনৈতিক ক্রিয়াকাণ্ড করতে পারি এবং রাজনৈতিক ক্রিয়াকাণ্ডেরই একটা অংশ হলো এই নির্বাচন।’
এ সময় তিনি ঝুঁকিপূর্ণ নির্বাচন কেন্দ্রে ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েনের অনুরোধ করেছেন বলে সাংবাদিকদের জানান। এ ছাড়া, আবদুল আউয়াল মিন্টুর প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে আপিলে কমিশনের ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আশা করছেন বলে জানান হান্নান শাহ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার বলেন, ‘আমাদের দেশে এখন একটা এজাহার করে নাম দেওয়া হয় দশটা লোকের, অজ্ঞাতনামা দুই হাজার। কাজেই এরকমভাবে কোনো কাজ যাতে পুলিশ করতে না পারে। অজ্ঞাতনামা বলে কাউকে ধরে নিয়ে গিয়ে আটক করে রাখল, এরা ভোট দিতে পারল না। এই জিনিসটা যাতে না ঘটে।
প্রতিনিধিদলে আরো ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুশফিকুর রহমান, এ এস এম আবদুল হালিম, সৈয়দ সুজাউদ্দিন আহমেদ, সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব আবদুর রশিদ সরকার ও সাবেক যুগ্ম সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার।