‘পরিস্থিতি বুঝে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করে, পরিস্থিতি বুঝে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ।
বিএনপির পক্ষ থেকে আসন্ন সিটি নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় সিইসি এ কথা জানান।
রকিব উদ্দীন আহমদ বলেন, ‘১৯ এপ্রিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ইসির বৈঠক হবে। ওই দিন সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হবে। তারপর পরিস্থিতি বুঝে সেনা মোতায়েনের দরকার হলে ইসি সে ব্যবস্থা নেবে।’
বিএনপিকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের দাবিতে ইসি কী সহায়তা দেবে -এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘সহায়তা করার বিশেষ কিছু নেই। সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের দায়িত্ব পালন করবে ইসি।’ বন্ধ থাকা বিএনপির কার্যালয় খুলে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সিটি নির্বাচন একটি নির্দলীয় নির্বাচন। তারপরও সবাই দলীয় কার্যক্রমের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করে।
এটি একটি সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা নির্বাচনী আইনের মধ্যে থেকে যতটুকু পারব করব।’
যাঁরা আত্মগোপনে আছেন, বা কারাগারে আছেন তাঁদের ব্যাপারে ইসি বিএনপিকে কীভাবে সহায়তা করবে-এমন প্রশ্নের জবাবে রকিব উদ্দীন আহমদ বলেন, ‘যাঁরা আত্মগোপনে আছেন, তাঁর তো কোনো ব্যবস্থা আমরা করতে পারি না। ফিরিয়ে আনতে তো পারব না তাঁকে। কারণ তিনি নিজে থেকেই আত্মগোপনে আছেন। এ ব্যাপারে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেবেন আদালত। আমাদের এখানে কিছুই করার নেই। তবে আমাদের দেশে তো এমন অনেক উদাহরণ আছে। জেলে থেকেই নির্বাচনে জেতার নজিরও আছে। জনগণ এখন অনেক সচেতন। সিদ্ধান্ত যা নেওয়ার তারাই নেবে।’
এর আগে বিকেলে ইসি সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য হান্নান শাহর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি আসন্ন সিটি নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ বন্ধ থাকা অন্য কার্যালয়গুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানায়।
এ ছাড়া ঢাকা উত্তরে মেয়র পদপ্রার্থী আবদুল আউয়াল মিন্টুর প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে আপিলে কমিশনের ইতিবাচক সিদ্ধান্ত বিএনপি আশা করছে বলেও জানান হান্নান শাহ।
প্রতিনিধিদলে আরো ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুশফিকুর রহমান, এ এস এম আবদুল হালিম, সৈয়দ সুজাউদ্দিন আহমেদ, সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব আবদুর রশিদ সরকার ও সাবেক যুগ্ম সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার।