মাহমুদার খুনিদের ছবি পুলিশের হাতে
চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় জড়িতদের ছবি এখন পুলিশের হাতে রয়েছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার ইকবাল বাহার।
আজ সোমবার সকালে সিএমপি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইকবাল বাহার বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যে এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য তথ্য জানানো সম্ভব হবে।
সিএমপি কমিশনার আরো বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের একটি অংশ পর্যায়ক্রমে জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সঙ্গে যোগ দিয়েছে কি না, সে বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে। যারা আগে শিবিরের সদস্য ছিল, কিন্তু এখন জেএমবির হয়ে কাজ করছে তাদের বিষয়টি পুলিশ বিবেচনায় নিয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ ঘটনাকে পুলিশ বাহিনী চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। তাই সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সবাই কাজ করছেন বলে জানান পুলিশ কমিশনার।
বাবুল আক্তার চট্টগ্রাম গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় নগরীতে সিসি ক্যামেরা বসিয়েছিলেন। সেগুলোর কী অবস্থা—তা জানতে চাইলে সিএমপি কমিশনার বলেন, সে সময় স্থাপিত ১৩৯টি সিসি ক্যামেরার মধ্যে এখন কার্যকর আছে মাত্র ১৩টি। বিলবোর্ড উচ্ছেদের সময় বিচ্ছিন্ন ক্যামেরা নতুন করে সংযোজনের কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
গতকাল গভীর রাতে নগরীর বাদুরতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সময় ব্যবহার করা মোটরসাইকেলটি জব্দ করার কথাও এ সময় উল্লেখ করেন ইকবাল বাহার। মোটরসাইকেলটি কার, এটি ভাড়ায় ব্যবহার হয়েছে কি না—এসব বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। তবে যথাযথ সাক্ষ্য-প্রমাণ ছাড়া কাউকে দোষারোপ করা হবে না বলেও মন্তব্য করেন সিএমপি কমিশনার।
গতকাল সকাল পৌনে ৭টার দিকে চট্টগ্রামের ব্যস্ততম এলাকা জিইসি মোড়ে ছুরিকাঘাতের পর গুলি করে হত্যা করা হয় চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে। এ সময় পাশেই ছিল তাঁদের ছেলে মাহির। তাকে স্কুলবাসে তুলে দিতেই বাসা থেকে বের হয়েছিলেন মাহমুদা।