উত্তরের প্রার্থীরা কে কোন প্রতীক পেলেন
ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে উত্তরের আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আনিসুল হক ‘টেবিল ঘড়ি’ ও বিএনপি সমর্থিত তাবিথ আউয়াল ‘বাস’ প্রতীক পেয়েছেন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি সমর্থিত বাহাউদ্দিন আহমেদ বাবুল ‘চরকা’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আজ শুক্রবার সকাল থেকে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয়ে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া চলছে।
সকাল ১০টা থেকে ডিসিসি উত্তর নির্বাচনের প্রতীক দেওয়া হয় আগারগাঁওয়ের জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ দেবেন বলে জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন।
প্রতীক বরাদ্দ শেষে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘যে জোট আমাকে সমর্থন দিয়েছে এবং আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের প্রার্থী হিসেবে আমি মাঠে নেমেছি। আমি আশাবাদী, জনগণ আমাদের অবশ্যই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে। ভোটারদের মনে এরই মধ্যে আমরা ঢুকে পড়েছি। এখন সময়ের ব্যাপার। তাঁদের মনে যা আছে তার জবাব জনগণের সামনে, জনগণের পক্ষে জনগণই দেবে কিছুদিন পর।’
বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষে ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তরে মেয়র পদে ১৬ জন, সাধারণ ওয়ার্ডে ২৭৭ জন ও নারী ওয়ার্ডে ৩৮১ জনসহ মোট ৬৭৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
কে কোন প্রতীক পেলেন
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থী আনিসুল হক ‘টেবিল ঘড়ি’, তাবিথ আউয়াল ‘বাস’, জাতীয় পার্টি সমর্থিত বাহাউদ্দিন আহমেদ বাবুল ‘চরকা’, মাহী বি. চৌধুরী ‘ঈগল’, গণসংহতি আন্দোলন সমর্থিত জোনায়েদ সাকি ‘টেলিস্কোপ’, জাসদ সমর্থিত প্রার্থী অভিনেতা নাদের চৌধুরী ‘ময়ূর’, সিপিবি সমর্থিত ক্বাফী রতন ‘হাতি’, আনিসুজ্জামান খোকন ‘ডিশ অ্যান্টেনা’, এ ওয়াই এম কামরুল ইসলাম ‘ক্রিকেট ব্যাট’, কাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ‘ইলিশ মাছ’, শেখ শহিদুজ্জামান ‘দিয়াশলাই’, শামসুল আলম চৌধুরী ‘চিতাবাঘ’, চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী ‘লাউ’, মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস ‘ফ্লাস্ক’, শেখ ফজলে বারী মাসুদ ‘কমলালেবু’ও জামান ভূইয়া ‘টেবিল’ প্রতীক পেয়েছেন।
এদিকে, ইসি সংরক্ষিত প্রতীকের চেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীসংখ্যা বেশি হওয়ায় এবার অতিরিক্ত ৩০টি প্রতীক থেকে বরাদ্দ দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। কেননা, মেয়র পদে ইসির প্রতীক হচ্ছে ১২টি। কিন্তু ডিসিসি উত্তরে প্রার্থীসংখ্যা ১৬ জন এবং দক্ষিণে ২০ জন।
সাধারণ কাউন্সিলরদের সংখ্যাও ইসির সংরক্ষিত প্রতীকের সংখ্যার চেয়ে বেশি। যে কারণে কাউন্সিলর পদেও অতিরিক্ত প্রতীক থেকে বরাদ্দ দিতে হবে।
সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালা অনুসারে তিনটি পদের জন্য ৩৪টি প্রতীক সংরক্ষণ করেছে ইসি। এর মধ্যে মেয়র পদে ১২টি, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১২টি এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের জন্য ১০টি প্রতীক ছিল।
ইসির সংরক্ষিত প্রতীক
মেয়র পদের জন্য সংরক্ষিত ১২টি প্রতীক হলো—টেবিল ঘড়ি, টেলিস্কোপ, ডিশ অ্যান্টেনা, কমলালেবু, ক্রিকেট ব্যাট, চরকা, দিয়াশলাই, ফ্লাস্ক, বাস, ময়ূর, হাতি ও ইলিশ মাছ।
সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদের জন্য ১০টি প্রতীক হলো—পিঞ্জর, টিস্যু বক্স, বয়াম, কেতলি, গ্লাস, পানপাতা, মুলা, মোড়া, শিলপাটা ও স্টিলের আলমারি।
সাধারণ কাউন্সিলর পদের জন্য সংরক্ষিত ১২টি প্রতীক হলো মিষ্টিকুমড়া, এয়ারকন্ডিশনার, করাত, ঘুড়ি, টিফিন ক্যারিয়ার, কাঁটা চামচ, ট্রাক্টর, ঠেলাগাড়ি, রেডিও, ঝুড়ি, ব্যাডমিন্টন র্যাকেট ও লাটিম।
অতিরিক্ত প্রতীক
প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় ৩০ অতিরিক্ত প্রতীকের মধ্যে মেয়র পদের জন্য ১২টি প্রতীক রাখা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে—টেবিল, মগ, লাউ, ল্যাপটপ, আংটি, ঈগল, কলমদানি, কেক, চিতাবাঘ, জাহাজ, শার্ট ও সোফা।
সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের আটটি প্রতীকের মধ্যে রয়েছে—প্রেশারকুকার, ফ্রাইপ্যান, বাঁশি, ঝুমঝুমি, টিয়া পাখি, দোলনা, ভ্যানিটি ব্যাগ ও হারমোনিয়াম।
সাধারণ কাউন্সিলর পদের জন্য ১০টি প্রতীকের মধ্যে রয়েছে—ঘোড়া, ভায়োলিন, ড্রেসিং টেবিল, ক্যাপ, ক্রিসমাস ট্রি, প্রদীপ, সূর্যমুখী, স্ট্রবেরি, হেডফোন ও হেলিকপ্টার।
আগামী ২৮ এপ্রিল তিন সিটি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন।