শোলাকিয়ায় হামলায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা
ঈদুল ফিতরের দিন কিশোরগঞ্জে শোলাকিয়া এলাকায় পুলিশের ওপর জঙ্গিদের হামলার তিনদিন পর দুজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
আজ রোববার বিকেলে পাকুন্দিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সামছুদ্দিন বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ছয়টি ধারায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হচ্ছেন শরীফুল ইসলাম ওরফে শফিউল ইসলাম ওরফে সাইফুল ইসলাম (২২) ও জাহিদুল হক ওরফে তানিম (২৪)। শফিউলের বাড়ি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ বাজারে। জাহিদুলের বাড়ি কিশোরগঞ্জ শহরের পশ্চিম তারাপাশা এলাকায়।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আসামি শরীফুল ইসলাম ওরফে শফিউল ইসলাম ওরফে সাইফুল ইসলাম বর্তমানে র্যাব হেফাজতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন আছেন। অপর আসামি জাহিদুল হক কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। অতিদ্রুত আসামিদের আদালতে উপস্থাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এ ছাড়া হামলার পর পুলিশের গুলিতে নিহত জঙ্গি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্র আবির রহমানের লাশ বর্তমানে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের হিমঘরে রয়েছে। তাঁর লাশ এখন পর্যন্ত কেউ নিতে আসেননি বলে ওসি জানান।
মীর মোশারফ হোসেন জানান, ঘটনার পর থেকে এ পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল, দুটি চাপাতি, দুটি গুলি, চারটি ম্যাগাজিনসহ আনুষঙ্গিক আরো অনেক আলামত পাওয়া গেছে।
মামলার লিখিত এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে পুলিশ ও জনগণের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়ে হত্যার অভিযোগ আনা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুর্শেদ জামানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
৭ জুলাই ঈদের দিন সকাল ৯টায় শোলাকিয়া মাঠসংলগ্ন আজিমুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে একটি তল্লাশি চৌকিতে সংশ্লিষ্ট জঙ্গিদের বোমা হামলায় দুই পুলিশ সদস্য নিহত, আট পুলিশ সদস্যসহ তিন পথচারী গুরুতর আহত হন। জঙ্গিদের সঙ্গে পুলিশের গুলিবিনিময়ের সময় জঙ্গি আবির রহমান ও স্থানীয় এক গৃহবধূ ঝরনা রানী ভৌমিক নিহত হন।