নির্বাচনে সেনাবাহিনীর প্রয়োজন নেই : কর্নেল জিয়া
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান বলেছেন, সব দলেরই জয়ের সমান সম্ভাবনা (উইন উইন পজিশনে) রয়েছে। তাই নির্বাচনে কেউগণ্ডগোলে জড়াবে না। যেই গণ্ডগোল করবে সেই-ই ধরা খাবে, সে সরকারি দলের হোক আর বিএনপির হোক। আজ রোববার রাজধানীর শেরে বাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে সিটি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক থেকে বেরিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সকাল ১১টার দিকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।
নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন সম্পর্কে কর্নেল জিয়াউল আহসান বলেন, 'বৈঠকে আমরা বেশির ভাগই বলেছি, সেনাবাহিনীর প্রয়োজন নেই।' প্রার্থীদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে সে সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, 'এখন পর্যন্ত কেউ মারা যায়নি। কেউ হুমকি দিলে প্রার্থীরা রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ দেবেন, সাংবাদিকদের কেন বলবেন? কতজন টেলিভিশন দেখে, সংবাদপত্র পড়ে। পেট্রলবোমা হামলা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।'
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ। বৈঠকে উপস্থিত আছেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, এনএসআই, ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালকরা, পুলিশের মহাপরিদর্শক, নির্বাচন কমিশনার মো. আব্দুল মোবারক, আবু হাফিজ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাবেদ আলী ও মো. শাহ নেওয়াজ, নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম সচিব জেসমিন তুলি, ঢাকা উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহ আলম, দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারোয়ার মোর্শেদ, চট্টগ্রামের রিটার্নিংকর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল বাতেন।
বৈঠকের কার্যপত্রের আলোচ্যসূচি হলো নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, নির্বাচন-পূর্ব শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে করণীয়, সন্ত্রাসী, মাস্তান ও চাঁদাবাজদের আটক এবং দৌরাত্ম্য প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া, বিভিন্ন নির্বাচনী কার্যক্রম গ্রহণ এবং নির্বাচনী দ্রব্যাদি পরিবহন ও সংরক্ষণে নিরাপত্তা বিধান, নির্বাচনী আইন এবং আচরণবিধিসহ বিভিন্ন নির্দেশনা সুষ্ঠুভাবে পরিপালনের পরিবেশ সুগম করা এবং ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তাবিষয়ক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ। গত বৃহস্পতিবার এ বৈঠকের কার্যপত্র প্রকাশিত হয়।
নির্বাচন কমিশনের সহকারী সচিব মো. রাজীব আহসানের প্রস্তুত করা বৈঠকের এ কার্যপত্র অনুযায়ী তিন সিটিতে মোট দুই হাজার ৬২৭টি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৬৩ হাজার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।
ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য দায়িত্বে থাকবে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যরা। প্রতি ভোটকেন্দ্রে ২২ থেকে ২৪ জন করে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। এদের মধ্যে ১২ জন হবেন অস্ত্রধারী।
নির্বাচনী এলাকায় র্যাব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), কোস্টগার্ডের দুই হাজার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এঁরা ভোটগ্রহণের দুই দিন আগে থেকে নির্বাচনের পরের দিন পর্যন্ত (২৬ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল) নির্বাচনী এলাকায় টহল দেবেন।