ভোটগ্রহণ কাল, তিন সিটিতে প্রার্থী ১১৮০
ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম—এই তিন সিটির ভোটগ্রহণ হবে আগামীকাল। তিন সিটির ৬০ লক্ষাধিক ভোটার প্রায় আড়াই হাজার ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। যদিও ভোটকেন্দ্রগুলোর অধিকাংশই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তিন সিটিতে মোট প্রার্থী এক হাজার ১৮০ জন। নির্বাচন উপলক্ষে প্রায় ৮২ হাজার সদস্য আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর তিনটি ব্যাটালিয়ন রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে ক্যান্টনমেন্টে অবস্থান করবে।
সর্বশেষ ২০০২ সালের সিটি নির্বাচনের সময় ঢাকা ছিল অবিভক্ত। এবার অবশ্য উত্তর ও দক্ষিণ দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে এই মহানগর। বিভক্ত এই ঢাকা সিটির উত্তরে ৩৬টি ওয়ার্ডে এক হাজার ৯৩টি ভোটকেন্দ্রে নারী-পুরুষ মিলে মোট ভোটার রয়েছেন প্রায় ২৩ লাখ ৪৫ হাজার। উত্তরে ১৬ মেয়র প্রার্থীসহ সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে মোট ৩৮৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৫৭টি ওয়ার্ডে প্রায় ১৮ লাখ ৭০ হাজার ভোটার ভোট দেবেন ৮৮৯টি ভোটকেন্দ্রে। দক্ষিণে মেয়র পদে ২০ প্রার্থীসহ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে মোট ৫০৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
urgentPhoto
বন্দরনগর চট্টগ্রাম সিটির ওয়ার্ডসংখ্যা ৪১টি। ভোটকেন্দ্র এখানে ৪৫২টি। নারী-পুরুষ মিলে মোট ভোটার চট্টগ্রামে প্রায় ১৮ লাখ ১৩ হাজার।
চট্টগ্রামে ১২ মেয়র প্রার্থীসহ তিন পদে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ২৮৭ জন। নির্দলীয় সিটি নির্বাচনে প্রধান তিন দলেরই সমর্থিত প্রার্থী রয়েছে।
সব মিলে তিন সিটিতে ৪৮ মেয়র প্রার্থীসহ তিনটি পদে মোট এক হাজার ১৭৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যার দিক দিয়ে এটি একটি রেকর্ড।
নির্বাচন উপলক্ষে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে তিন সিটিতে তিন ব্যাটালিয়ন সেনাবাহিনী থাকবে। এ ছাড়া পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার মিলে তিন সিটিতে প্রায় ৮২ হাজার সদস্য মোতায়েন রয়েছে। তা ছাড়া নির্বাচনী অপরাধ দমন ও তাৎক্ষণিক বিচারের জন্য রয়েছেন ৪৭৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট।
গত সংসদ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক বলতে ছিল শুধু ভারত ও ভুটান। এবার এই তিন সিটির নির্বাচনে ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার পক্ষ থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হবে।
এ ছাড়া ২৮ এপ্রিল ভোটের দিন নির্বাচনী এলাকাগুলো থাকবে সাধারণ ছুটি।