কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনী সামগ্রী
ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আগামীকাল মঙ্গলবার। এরই মধ্যে অনেক ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। যেসব কেন্দ্রে বাকি ছিল, সেখানে আজ সকাল থেকে পাঠানো হচ্ছে। নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে টহল দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মোট এক হাজার ৯৩টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। এসব কেন্দ্রে নির্বাচনী সামগ্রী বিতরণের জন্য মোট আটটি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।urgentPhoto
এর মধ্যে রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, আজ সোমবার সকাল থেকেই উত্তরের ২৬, ২৭ ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের মোট ৬৩টি কেন্দ্রের নির্বাচনী সরঞ্জাম সরবরাহ করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসাররা এই কেন্দ্রে এসে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপার, সিলসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী বুঝে নিয়ে নিজ নিজ কেন্দ্রে চলে যাচ্ছেন।
এ ছাড়া ঢাকা উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম সামগ্রী সরবরাহ করার কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করছেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যেসব ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, তার সবই তাঁরা গ্রহণ করেছেন। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
এদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ৮৮৯টি ভোটকেন্দ্রে বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণের জন্য মোট সাতটি কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়াম। সকালে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, দক্ষিণের নয়টি ওয়ার্ডের ১৮৫টি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে নির্বাচনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী সংগ্রহ করে নিজ নিজ কেন্দ্রে ফিরে যাচ্ছেন। এ সময় তাঁদের নিরাপত্তা দিতে সঙ্গে থাকছেন একদল পুলিশ সদস্য। এ ছাড়া যেসব কেন্দ্র বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্ণিত করা হয়েছে, সেসব কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে যাচ্ছেন আরো বেশি সংখ্যক পুলিশ সদস্য। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়েই এসব সরঞ্জাম নির্দিষ্ট কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম—এই তিন সিটির ভোটগ্রহণ হবে আগামীকাল। তিন সিটির ৬০ লক্ষাধিক ভোটার প্রায় আড়াই হাজার ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। যদিও ভোটকেন্দ্রগুলোর অধিকাংশই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তিন সিটিতে মোট প্রার্থী এক হাজার ১৮০ জন। নির্বাচন উপলক্ষে প্রায় ৮২ হাজার সদস্য আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর তিনটি ব্যাটালিয়ন রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে ক্যান্টনমেন্টে অবস্থান করবে।