টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া কোথাও আইএস নেই : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া সব জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছি। কিন্তু কোথাও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কোনো নেতার চেহারা এখনো দেখতে পাইনি।
আজ শুক্রবার রাজধানীর মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজ মাঠে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী মহাসমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, ‘খালি শুনি আইএস, আইএস কিন্তু আমি নিজে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া সব জায়গার গ্রাম-প্রান্তর ঘুরে বেড়িয়েছি, কোথাও আইএসের কোনো নেতাকে দেখতে পাই নাই। আমাদের দেশের জঙ্গিরা কখনো হুজি, কখনো আনসারুল্লাহ বাংলা টিম এই সব নামে মানুষ হত্যা করছে।’
গুলশান হত্যাকাণ্ড নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ইতালীয় নাগরিক তাবেলা সিজার, জাপানি নাগরিক হোশি কুনিওকে হত্যার পর জঙ্গিরা গুলশানের যে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, তাদের মানুষ বলা চলে না, তাদের নরপিশাচ নামে ডাকাই ভালো। কারণ তারা প্রত্যেককে নরপিশাচের মতো জবাই করে হত্যা করেছে। এই জঙ্গিদের কেউ কেউ আবার বলেছে, মরে গেলেও জান্নাতে যাব। এই সব কথা তারা বলে কারণ তাদের ব্রেন সেভাবেই ওয়াশ করা হয়েছে। তাই আমরা সবাই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসকে রুখব। জঙ্গিদের ধরিয়ে দিতে পুলিশকে সহযোগিতা করব।’
জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে পুলিশের কার্যক্রম নিয়ে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘পুলিশ জঙ্গিবাদকে দমন করতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। গুলশান ও শোলাকিয়ায় আমাদের পুলিশের সদস্যরা জীবন দিয়েছে। পুলিশ জঙ্গিদের অনেককেই শনাক্ত করেছে এবং বাকিদেরও শনাক্ত করার চেষ্টা করেছে।’ তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষও এই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সচেতন হচ্ছে এখন। যশোরে দুজনকে তাদের বাবা-মা থানায় নিয়ে এসে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। আমরা সবাই আমাদের হৃদয়ে মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা ধারণ করি এবং মাথায় ধারণ করি পবিত্র কোরআন।’
কল্যাণপুরের পুলিশই অভিযানে বেঁচে যাওয়া হাসান কোনো তথ্য দিয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘সে অনেক তথ্য প্রদান করেছে এবং তার তথ্য অনুযায়ী পুলিশ অনেককে শনাক্ত করতে পেরেছে। এই জঙ্গিদের সংগঠনের যে চক্র আছে তাদের ধরার জন্য অনেক তথ্য পুলিশের কাছে আছে।’
সমাবেশে মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের ব্যক্তিরা।