উত্তরের কেন্দ্রে সাংবাদিকদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দুটি কেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে কেন্দ্রের ভেতর কোনো সমস্যা হয়নি।
ওই দুটি ভোটকেন্দ্র হলো রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয় এবং মিরপুর ২ নম্বরে ন্যাশনাল বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র।
আজ সকালে ভোট শুরু হওয়ার পরপরই ৮টার দিকে কয়েকজন সাংবাদিক রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঢুকতে যান। এ সময় দায়িত্বরত পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের বাধা দেওয়া হয়। পুলিশের দাবি ছিল, পাঁচজন করে ঢুকতে দেওয়া হবে। কেন্দ্রের ভেতর ঢোকা যাবে না।
তবে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদ বলেন, ‘আপনারা এখান থেকে চলে যান। ছবি তুইলেন না।’ ওই কেন্দ্রে তখন পর্যন্ত তেমন ভোটারের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়নি।
ন্যাশনাল বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ে সকাল সোয়া ৮টার পর কেন্দ্রে ঢুকতে গেলে পুলিশের বাধা পান কয়েকজন সাংবাদিক। পুলিশ সদস্যরা তাঁদের বলেন, ‘ভেতরে ঢুকে কী করবেন?’ পরে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে কেন্দ্রের ভেতর ঢুকে জানা যায়, ওই কেন্দ্রে বিএনপির পোলিং এজেন্টকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
মিরপুর সাংবাদিক আবাসিক এলাকার ভোটকেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, তাঁর কেন্দ্রে সমস্যা নেই। তবে মেয়র পদপ্রার্থী জোনায়েদ সাকির নির্বাচনের প্রচারকর্মী মাহবুব ইরান জানান, মিরপুর ৭ নম্বর সেক্টরের কয়েকটি কেন্দ্রে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের বাইরে পোলিং এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ১৬ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৮৯ ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৮১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই সিটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ২৩ লাখ ৪৫ হাজার ৩৭৪ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১১ লাখ ২০ হাজার ৬৭৩ জন এবং পুরুষ ভোটার ১২ লাখ ২৪ হাজার ৭০১ জন।
সংরক্ষিত ১২ ও সাধারণ ৩৬টি ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা এক হাজার ৯৩টি, ভোটকক্ষ পাঁচ হাজার ৮৯২টি। এ অংশের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম ও ১২ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।