শনাক্তের অপেক্ষায় মর্গে টাম্পাকোর ১০ মরদেহ
গাজীপুরের টঙ্গীতে বিসিক শিল্প এলাকায় টাম্পাকো ফয়েলস কারখানায় বিস্ফোরণ ও আগুনের ঘটনায় নিহত ১০ জন এখনো শনাক্তের অপেক্ষায় রয়েছেন। এদের বেশির ভাগের শরীরই পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে।
ফলে শনাক্তের জন্য স্বজনদের ডিএনএ নমুনা মেলানোসহ বেশকিছু ধাপ পেরোতে হবে।
আজ সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আ খ ম শফিউজ্জামান (খায়ের) এনটিভি অনলাইনকে বলেন, টাম্পাকোর ঘটনায় আজও তিনটি মরদেহ মর্গে আনা হয়েছে। এর আগে থেকেই মর্গে ছিল এ ঘটনায় নিহত সাতটি মরদেহ। নতুন আনা তিনটি মরদেহেরই ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। সেইসাথে ডিএনএ নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করা হয়েছে দাঁত।
ট্যাম্পাকোর কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর মোট ৩৮টি মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে আসে জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, যার মধ্যে ২৮টিই ময়নাতদন্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে ১০টি মরদেহ শনাক্ত করতে মর্গে ছুটে আসছেন নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা। তবে পুড়ে যাওয়া শরীরগুলো দেখে কিছুই শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে মরদেহগুলোর সঙ্গে থাকা চাবির রিং, ব্যাংকের ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড দেখে শনাক্তের চেষ্টা করছেন তাঁরা।
ডা. আ খ ম শফিউজ্জামান আরো জানান, ডিএনএ নমুনা মেলানোসহ অন্যান্য আইনি আনুষ্ঠানিকতা শেষে পুলিশের সায় পেলেই তাঁরা পরিবারগুলোর কাছে লাশ হস্তান্তর করবেন।
এদিকে টঙ্গী থানার উপপরিদর্শক সুমন ভক্ত এনটিভি অনলাইনকে জানান, আজ যে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এর মধ্যে একজনকে স্বজনরা শনাক্ত করেছে। তাঁর নাম চুন্নু মোল্লা। মরদেহের সঙ্গে থাকা ইউসিবি ব্যাংকের ভিসা কার্ড ও ট্যাম্পাকোর পরিচয়পত্র দেখে তাঁকে শনাক্ত করা হয়েছে। তবু স্বজনদের সঙ্গে ডিএনএ নমুনা মিলিয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরই মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
গত ১০ সেপ্টেম্বর সকালে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনের মালিকানাধীন টাম্পাকো ফয়েলস লিমিটেডের কারখানায় গ্যাস সঞ্চালন লাইন বিস্ফোরণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রতিষ্ঠানটির চারটি ভবনের তিনটি ধসে পড়ে। এ ঘটনায় ৩৯ জন নিহত এবং ৩৪ জন আহত হন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন ১০ জন।