খাদিজা হত্যাচেষ্টার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হবে
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতার চাপাতির কোপে গুরুতর আহত সিলেটের কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিস হত্যাচেষ্টা মামলার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বার্তা সংস্থা বাসসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন বলেন, সিলেটে অত্যন্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে শিশু রাজন হত্যার বিচার হয়েছে। একইভাবে খাদিজা হত্যাচেষ্টার বিচারও দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে পুলিশ ও জেলা প্রশাসন সমন্বিত উদ্যোগ নিয়েছে।
‘তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র প্রদান করবে। সেটি গৃহীত হলে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হবে’, যোগ করেন জেলা প্রশাসক।
গত ৩ অক্টোবর ডিগ্রি (পাসকোর্স) দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিতে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা। বিকেলে পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল আলম (২৭)। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা তাঁকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন।
এরই মধ্যে আজ সিলেটের আদালতে খাদিজার ওপর হামলার দায় স্বীকার করে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন বদরুল আলম।
জবানবন্দিতে তিনি বলেন, আট বছর ধরে খাদিজাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন তিনি। প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে শেষ পর্যন্ত তাঁর ওপর হামলা চালান বদরুল।
ঘটনার দিন গুরুতর আহত অবস্থায় খাদিজাকে প্রথমে সিলেটে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ৪ অক্টোবর (মঙ্গলবার) তাঁকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে রয়েছেন খাদিজা।
বদরুলের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকে। বদরুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ৪ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) জেদান আল মূসা জানান, মামলার প্রাথমিক তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ১৬৪ ধারায় আদালতে আসামি বদরুলেরর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। খাদিজা হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত চাপাতিসহ অন্যান্য আলামত জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন, আজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তার পক্ষ থেকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ঢাকার স্কয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বরাবরে খাদিজার চিকিৎসা সনদের জন্য আবেদন করা হয়েছে।