লিপু হত্যা : রুমমেট মনিরুল জেলহাজতে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র মোতালেব হোসেন লিপু হত্যা মামলায় তাঁর রুমমেট মনিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আটকের তিন দিন পর আজ রোববার মনিরুলকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির।
মনিরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
জেলহাজতে পাঠানোর বিষয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ রোববার লিপু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মনিরুল ইসলামকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’
‘দুই নিরাপত্তা প্রহরী মনির ও সাইদুলকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের জন্য গতকাল শনিবার আবার তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। লিপুর বন্ধু প্রদীপ বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে, ছেলে হত্যা মামলার তদন্তের অগ্রগতিসহ নানা বিষয় দেখতে লিপুর বাবা বদরউদ্দিন রাজশাহী এসেছিলেন। আজ রোববার সকালে তিনি বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন।
এ বিষয়ে বদরউদ্দিন বলেন, ‘পুলিশ বলল, আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা বের করে ফেলব। তবে এখন পর্যন্ত তদন্তের অগ্রগতি কতদূর, সে বিষয়ে কিছু বলেনি। আর আমি অত প্রশ্ন-টশ্ন করিনি। তার কারণ, আমার পুলিশ-দারোগা দেখলে জীবনের ভয় করে। আমি ওদের সঙ্গে জড়িত থাকতে চাইনে।’
‘আমি পুলিশ কমিশনারকে কইয়ে আইছি, লিপুর মার কোল যেমন খালি হইছে, সে রকম যেন আর কারো না হয়। এই ব্যবস্থা আপনারা করবেন। আমরা আসল তথ্য অবশ্যই বের করব, অবশ্যই এর বিচার করব—এই কইয়ে আমারে বিদায় করে দিছে।’
‘ওই হলের লোকজনই মারছে। বাইরের লোকজন না। এইটুকুই আমার ধারণা। গেটম্যান জানে, সে হয়তো প্রকাশ করতে পারছে না। আবার রুমমেটরা জানবে না, এটাও হতে পারে না। আমার শিক্ষা নাই, ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করতে চেয়েছিলাম। লিপুকে নিয়েই সেই আশা ছিল। কিন্তু শেষ হয়ে গেল।’
গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নবাব আবদুল লতিফ হলের ডাইনিংয়ের পাশের নর্দমা থেকে লিপুর লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই হলেরই ২৫৩ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।
এ ঘটনায় ওই দিনই রাজশাহী নগরীর মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।