বার কাউন্সিল নির্বাচন স্থগিত
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বার কাউন্সিল আইন-২০০৩ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং বার কাউন্সিল ২০১৫ সালের নির্বাচন কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে রিটকারী আইনজীবী ড. ইউনূস আলী আকন্দ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ১৯৭২ সালের মূল রুলসে একজন ভোটারের ১৪টি ভোটাধিকার প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে। অথচ ২০০৩ সালে নিয়ম করা হয় যে একজন ভোটার মাত্র সাতটি ভোট প্রয়োগ করতে পারবেন, যা মূল আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই রিট করেছি। আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দিয়েছেন।’
গত ১৭ মে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. ইউনূস আলী আকন্দ জনস্বার্থে হাইকোর্টে একটি রিট করেন। এই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত রুল জারি করেন।
আগামী ২৭ মে বার কাউন্সিলের এবারের নির্বাচনে ভোট গ্রহণের জন্য দিন নির্ধারণ ছিল। শুরু থেকে এ নির্বাচন ২০ মে দিন নির্ধারণ থাকলেও পরে এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ মে কাউন্সিলের এক জরুরি সভায় এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়। আজ এ নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
এর আগেও ভোটার তালিকায় ‘অস্পষ্টতা ও একই নাম একাধিকবার’ থাকার কথা জানিয়ে ১০১ জন আইনজীবী গত ২৯ এপ্রিল আলাদাভাবে কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সচিবকে চিঠি দেন। বার কাউন্সিল নিজস্ব নথিপত্রের সাহায্য না নিয়ে আইনজীবী সমিতিগুলোর পাঠানো সদস্য তালিকা ধরেই ভোটার তালিকা তৈরি করেছে বলে চিঠিতে অভিযোগ করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, এ ভোটার তালিকা ‘স্বচ্ছভাবে’ হয়নি। কোনো নির্বাচিত সদস্য এ কাজের সঙ্গে ছিলেন বলেও তাঁরা জানেন না।
বার কাউন্সিল নির্বাচনে মোট ১৪ সদস্য নির্বাচিত হবেন। এর মধ্যে সারা দেশে সনদপ্রাপ্ত আইনজীবীদের ভোটে সাধারণ আসনে সাতজন এবং দেশের সাতটি অঞ্চলের স্থানীয় আইনজীবী সমিতির সদস্যদের মধ্য থেকে একজন করে আরো সাতজন নির্বাচিত হয়ে আসেন।
এই ১৪ সদস্যের ভোটে নির্বাচিত হন বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান। অ্যাটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসেবে পদাধিকারবলে কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।