মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লাঞ্ছিত মুক্তিযোদ্ধার মামলা
চট্টগ্রামে পাঁচ মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে হামলায় আহত মুক্তিযোদ্ধা মো. ইদ্রিস বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
গতকাল শনিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে ‘মুক্তিযোদ্ধা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ নামে একটি সংগঠন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আনোয়ারুল আজিম আরিফকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এ সময় তাঁদের ওপর হামলা চালান ‘সাতকানিয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ’-এর নেতা-কর্মীরা। এতে মো. ইদ্রিস ছাড়াও নুরুল আলম, আহমদুর রহমান, সুভাষ চৌধুরী ও বিমল চৌধুরী আহত হন।
সাতকানিয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতা-কর্মীরা মো. ইদ্রিসকে মারধরের পর তাঁর জামা খুলে নেন। পরে তিনি দৌড়ে পাশের একটি দোকানে আশ্রয় নেন।
এ বিষয়ে মো. ইদ্রিস এনটিভি অনলাইনকে জানান, ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধারা বৃদ্ধ হয়ে গেছি। কিন্তু ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর পোষ্যরা সবল। এ জন্য আমাদের পিটিয়ে আহত করেছে।’
ইদ্রিস আরো বলেন, ‘ঘটনার পর হাসপাতাল থেকে ফিরে রাতে আমি বাদী হয়ে উপাচার্যের ভাতিজা রফিউল হায়দার রাফি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার আবু মুসা বকুল, সাতকানিয়ার ‘ভুয়া’ মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহেরসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছি।’
জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন জানান, ‘রাতে মো. ইদ্রিস বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় যাদের হাতে ওনারা আক্রান্ত হয়েছেন এমন পাঁচজনকে আসামি করেছেন।’