জনগণের পকেট কাটাই সরকারের একমাত্র কাজ, দাবি মির্জা ফখরুলের
দেশের জনগণের পকেট কাটাই ক্ষমতাসীন সরকারের একমাত্র কাজ বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘এই সরকারে একটাই মাত্র কাজ, জনগণের পকেট কাটা। এমন একটা জিনিস নেই সেখান থেকে সরকার পকেট কাটে না। মোবাইল থেকে তারা পকেট কেটে নেয়। বিদ্যুতের কার্ড এ টাকা ঢুকালে দেখবেন ৩০০ টাকা নেই। কেটে নিয়ে গেছে শেখ হাসিনা। এক বছরে আমাদের ৭৮ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়।’
আজ মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিকেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির পদযাত্রার পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এই সব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই দেশটা কারও বাবার নয়, এটা আপনার আমার সবার দেশ। সবাই মুক্তিযুদ্ধ করে এ দেশটাকে আমরা স্বাধীন করেছি। কিন্তু, সেই দেশে কোনো কথা বলার অধিকার নেই। নিরাপত্তা নেই।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মিথ্যা মামলা দিয়ে এই সরকার আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে আটকে রেখেছিল। এখন ঘরে গৃহবন্দি করে রেখেছে। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে বিদেশে নির্বাসিত করে রেখেছে। আমাদের এমন নেতা নেই যার বিরুদ্ধে একের অধিক মামলা নেই।’
মার্কিন ভিসা নীতির কারণে সরকার বেকায়দায় পরে গেছে জানিয়ে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এই নেতা বলেন, ‘তারা পাচার করা টাকা ফেরত আনছে। আবার সেই টাকায় আড়াই পার্সেন্ট ইনসেন্টিভ (প্রণোদনা) দিচ্ছে। এখন টাকা পাচারকারীদের পুরষ্কার দেওয়া শুরু হয়েছে। এখন চুরি করেও পুরষ্কার পাওয়া যায়।’
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কি চেয়েছিলেন বরিশালের মেয়র প্রার্থী মারা যাক? ধিক্কার জানাই তার এমন কথায়।’
সিরাজুল আলম খানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি। কিন্তু, এই আওয়ামী লীগ তাকে মৃত্যুর পর সম্মান পর্যন্ত দিল না।’
ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আসুন না, রাস্তায় পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ছাড়া। দেখবেন কার কত সাহস। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন, দেখবেন কার কত সাহস আর শক্তি, জনগণ আপনাদের কী করে।’