মির্জা ফখরুলের নামে ভুয়া মন্তব্যের ফটোকার্ড প্রচার
সম্প্রতি ‘সংস্কারের নামে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করলে এর ফলাফল ভয়াবহ হবে’ শীর্ষক মন্তব্য বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর করেছেন এমন দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই দাবিতে মূল ধারার গণমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের লোগো সম্বলিত একটি ফটোকার্ডও প্রচার করা হয়েছে। তবে, এই তথ্য ভুয়া বলে জানিয়েছে ফ্যাক্টচেক বিষয়ক প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।
অনুসন্ধানে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের লোগো সম্বলিত আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার জানিয়েছে, এতে টেলিভিশনটির লোগো ও এটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ২৮ ডিসেম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। এর সূত্র ধরে গণমাধ্যমটির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রচারিত সংবাদ ও ফটোকার্ডগুলো পর্যালোচনা করে এমন শিরোনামের কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ইনডিপেনডেন্ট টিভির ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেল বা অন্য কোনো গণমাধ্যমেও এমন দাবির পক্ষে কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে, ইনডিপেনডেন্ট টিভির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ পর্যবেক্ষণ করে গত ২৮ ডিসেম্বর ‘সংস্কারের নামে অনির্বাচিত সরকারকে দেশ চালাতে দেওয়া উচিত না–মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির মহাসচিব’ শীর্ষক শিরোনামে একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। ফটোকার্ডটি পর্যালোচনা করে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডের ছবি ও গ্রাফিক্যাল ডিজাইনের সঙ্গে এর সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। শুধু আলোচিত ফটোকার্ডটিতে ‘সংস্কারের নামে অনির্বাচিত সরকারকে দেশ চালাতে দেওয়া উচিত না’ শীর্ষক বাক্যের পরিবর্তে ‘সংস্কারের নামে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করলে এর ফলাফল ভয়াবহ হবে’ শীর্ষক বাক্য লেখা হয়েছে। ফটোকর্ডটির রংও পরিবর্তন করা হয়েছে।
অর্থাৎ, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের এই ফটোকার্ড সম্পাদনা করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।
ওই ফটোকার্ড সম্বলিত পোস্টের মন্তব্যের ঘরে পাওয়া একই শিরোনামে গণমাধ্যমটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘আল্লাহ চাইলে বিএনপি আবার ক্ষমতায় যাবে’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আগেও ক্ষমতায় ছিলাম। ক্ষমতার জন্য আমরা কোনোদিন রাজনীতি করিনি। সংস্কার প্রক্রিয়া শুরুই করেছেন জিয়াউর রহমান। আওয়ামী লীগের বাকশাল থেকে তিনি ফিরিয়ে এনেছেন বহুদলীয় গণতন্ত্র।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সংস্কারের নামে দিনের পর দিন অনির্বাচিত সরকারকে দেশ চালাতে দেওয়া যায় না।’ এছাড়া, ওই দাবি সম্বলিত কোনো তথ্য গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে পাওয়া যায়নি।