সাংবাদিক নাদিম হত্যায় ইউপি চেয়ারম্যানকে দল থেকে বহিষ্কার, আটক ১০
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ায় সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ১০ হামলাকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৬ জুন) রাতে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগম ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন তালুকদার বাবুলের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে সাময়িক বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়েছে, কেন তাকে (ইউপি চেয়ারম্যান) স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা সাময়িক অব্যাহতিপত্র পাওয়ার সাত কর্মদিবসের মধ্যে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিতভাবে জবাব দিতে হবে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বকশীগঞ্জের সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের ওপর হামলার পর তাঁর মৃত্যুর জন্য উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবু জড়িত থাকার বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে বেশ জোড়ালো প্রচারিত হয়। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ায় তাকে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে দল থেকেও তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
এ ছাড়া, জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দীন আহমেদ সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যার সঙ্গে জড়িত আরও চারজনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।
আটক ১০ জনের মধ্যে চার জনের নাম জানা গেলেও বাকিদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। আটক চারজন হলেন—গোলাম কিবরিয়া সুমন, মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন, আইনাল হক, কফিল উদ্দিন।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ‘এখনও এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ বা মামলা করেনি কেউ।’
গত বুধবার রাতে বকশীগঞ্জে বাসায় ফেরার পথে উপজেলার পাটহাটি এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হন সাংবাদিক নাদিম। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে মারা যান তিনি।