সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, বিপৎসীমার ওপরে সুরমার পানি
গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত কমলেও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল অব্যাহত আছে সুনামগঞ্জে। এতে জেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত আছে। ফলে ভোগান্তি বাড়ছে মানুষের। এদিকে সুরমা নদীর পানি ষোলঘর পয়েন্ট দিয়ে বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একইভাবে ছাতক স্টেশনে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ সদর, ছাতক, দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভপুর, শান্তিগঞ্জ, শাল্লা, দিরাই, ধর্মপাশা, ও মধ্যনগর উপজেলার বেশির ভাগ ইউনিয়ন ও গ্রামে বন্যা দেখা দিয়েছে। ঢুবে আছে গ্রাম ও ইউনিয়নের বেশির ভাগ সড়ক। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন লাখো মানুষ। তবে, বন্যায় সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সুনামগঞ্জ সদর ও ছাতক উপজেলা।
সুনামগঞ্জ তাহিরপুর আঞ্চলিক সড়কের কয়েক জায়গাতে পানি উঠে যাওয়ায় দ্বিতীয় দিনেও সুনামগঞ্জের সঙ্গে তাহিরপুরের সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন রয়েছে।
গতকাল সুনামগঞ্জ শহরের বেশ কিছু জায়গাতে পানি উঠলে রাতে নেমে গেছে। এখনও শহরের বড়পাড়া, পশ্চিম হাজীপাড়া, নতুন পাড়া, হাছননগর এলাকার সড়কেও বাড়ি ঘরে পানি ঢুকেছে।
সুনামগঞ্জ পৌরশহরের নবীনগর, হাছননগর, ওয়েজখালী, পশ্চিম হাজীপাড়া বড়পাড়া এলাকার বাড়ি ঘরে পানি থাকায় ভোগান্তির শেষ নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ, গত কয়েকদিন পানি বন্দি থাকলেও জনপ্রতিনিধিরা তাদের কোনো সহযোগিতা করেননি।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার জানান, সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও আর বড় ধরণের বন্যার আশঙ্কা নেই। ভারতের চেরাপুঞ্জিতেও বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। আগামীকাল থেকে অবস্থার উন্নতি হবে বলে আশা করেন তিনি।